
সরকার ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন নেই, লাগেজ পার্টির আমদানি করা ওষুধ বিক্রি করছিল লাজ ফার্মার কাকরাইল শাখা। এছাড়া এ শাখা থেকে অসংখ্য মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ইনজেকশন উদ্ধার করে র্যাব। প্রতিষ্ঠানটিকে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় সন্ধ্যায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে ৫০ লাখ টাকার ওষুধ ও ইনজেকশন জব্দ করা হয়।
জিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, কোন ধরনের ওষুধ আমদানি করা যাবে, কোনগুলো আমদানি নিষিদ্ধ তা সরকার নির্ধারণ করেছে। তাছাড়া ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রেও বাধ্যবাধকতা রয়েছে, রয়েছে রাজস্ব পরিশোধের বাধ্যবাধকতাও।
কিন্তু কাকরাইলের লাজ ফার্মায় আমরা দেখতে পেয়েছি বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত ওষুধ ও ইনজেকশন মজুত করা হয়েছে। যার রাজস্ব পরিশোধ কিংবা যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর অধিকাংশই তারা আমদানি করেছে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, অভিযানে লাজ ফার্মায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বাক্সে ঘষামাজা করে তারিখ পরিবর্তনের প্রমাণও পাওয়া যায়। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির সাতজনকে অভিযুক্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে পাঁচ লাখ করে এবং দুজনকে দুই লাখ টাকা করে মোট ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে প্রায় ৭৬ প্রকারের ৫০ লাখ টাকার অননুমোদিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ইনজেকশন জব্দ করা হয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন পিপলস নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন - feature.peoples@gmail.com