১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করা অবস্থাতেই চার সন্তানের বাবা হওয়ার দাবি করেছেন এক ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী। সম্প্রতি এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারাগারের চার দেওয়ালের মধ্য থেকেই কিভাবে চার সন্তানের বাবা হয়েছেন সে ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে জানায়, রাফাত আল-কারাভী নামে ওই ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী সম্প্রতি প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, আলুর চিপসের প্যাকেটে শুক্রাণু পাচার করে চার সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি।
রাফাত আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের একজন সদস্য। ২০০৬ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে মুক্তি পান তিনি।
রাফাত জানান, জেল থেকে চিপসের প্যাকেটে বীর্য ভরে স্ত্রীকে দিয়েছিলেন তিনি। ফার্টিলিটি ক্লিনিকে তার শুক্রাণুর সঙ্গে ডিম্বাণু নিষিক্তকরণের মাধ্যমে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হন।
রাফাতের দাবি শুধু তিনিই নন, কারাগারের অন্য কয়েদিরাও এভাবে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে শুক্রাণু পাচার করে।
রাফাতের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি মিডিয়া ওয়াচ জানায়, রাফাত ক্যান্টিনের মাধ্যমে শুক্রাণু পাচার করতেন। কারণ কারাবন্দিদের কারাগারের ক্যান্টিন থেকে জিনিসপত্র ব্যাগে করে পাঠানোর অনুমতি আছে।
এ ব্যাপারে রাফাত বলেন, কারাগারের ক্যান্টিন অনেকটা সুপার মার্কেটের যাওয়ার মতো। এখানে গিয়ে আপনি আপনার পরিবারকে ক্যান্ডি, কুকি, জুস, মধু বা যা আপনি চান, পাঠাতে পারবেন।
নিয়ম অনুযায়ী কারাগারের ক্যান্টিন থেকে বন্দিরা অন্তত পাঁচটি জিনিস পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের মতে, কারাগার থেকে কয়েদিদের পাচার করা শুক্রাণুর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১০১টি শিশু জন্ম নিয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি দেওয়া হয় না কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না বলে কারা কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অসম্ভব বলে অভিহিত করেছেন। কারণ শুক্রাণু হোস্টের শরীরের বাইরে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না।
https://youtu.be/S3pnA9NQCeA
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com