স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের ফেলা বর্জ্যে অস্তিত্ব সংকটে পরেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ঐতহ্যবাহী ইছামতী নদীর শাখা খাল। এক সময় ইছামতী নদী সংলগ্ন এ খালটি প্রবাহমান থাকলেও বর্তমানে ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে। খালটিতে যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা ও মানব সৃষ্ট বর্জ্য ফেলার কারণে খালের পানি দূষিত হওয়ার পাশাপাশি খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়াসহ দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। এছাড়া জণসাধারণের চলালচলের রাস্তা ঘেষা খালের ময়লা-আবর্জনার স্তূপের দুর্গন্ধে স্থানীয়রা বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এদিকে খালে ফেলা বর্জ্যে পানি পচে গিয়ে মশার উপদ্রবও বেড়েছে। অন্যদিকে ইছামতী নদী সংলগ্ন সিরাজদিখান-মালখানগর সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালটি থেকে স্থানীয় কৃষকরা কৃষি কাজে ব্যবহার্য পানির যোগান দিয়ে আসছেন।
কিন্ত সরকারী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লা আবর্জনায় দিন দিন খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ইছামতীর শাখা এ খালটি পুনরুদ্ধার ও পুনঃখনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সুশীল সমাজের সচেতন মহলের লোকজন খালটির অস্তিত্ব সঙ্কটে পরায় সরকারী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করাকেই দায়ী করেছেন। তাদের ভাষ্য, সরকারী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে প্রবাহমান এ খালটি দখলদারিত্বের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতো। খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশ কয়েকটি খালের খনন কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি খাল খনন জরুরী হয়ে পরেছে। এর মধ্যে ইছামতীর শাখা খাল তথা গোয়ালবাড়ী খালটি অন্যতম। অন্যথায় বেদখলসহ খালের অস্তিত্ব সঙ্কট ও চাষাবাদে পানি সংকটে পরবে স্থানীয় কৃষকরা। একাধিক পথচারী বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তার পাশ দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু রাস্তার পাশে থাকা ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধে চলাচল করতে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে।
সারাদিন পথচারিসহ স্থানীয়রা ময়লার দূর্গন্ধ সহ্য করে এ রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে। দ্রুত এখান থেকে ময়লাগুলো সরানো হলে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষাসহ মানুষজন চলাচল করতে পারবে। রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী স্থানীয়দের। রশুনিয়া ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জয়ন্ত ঘোষ বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। যেখানে সখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ফেললে পরিবেশ পরিেবেশ যেমন ভালো থাকবে তেমনি নিজেরাও ভালো থাকা যায়। ময়লা ফেলার ব্যপারে কারো কোন অভিযোগ থাকলে সেটা দেখবো। রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবু সাঈদ বলেন, খালটির অধিকাংশ অংশ ইছাপুরা ইউনিয়নের শুধু এক থেকে দেড়শ মিটার আমার ইউনিয়নে। তবে খালটি সংস্কার হওয়া জরুরী। আমার অংশ সহ ইছাপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব খালটির ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com