মোঃ মাইন উদ্দিন : দাঙ্গা, হাঙ্গামা, মারামারি, খুন, খারাবি কমবেশি সব দেশেই ছিল এবং এখনও আছে। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির জন্য প্রচলিত আইনও আছে স্ব স্ব দেশে। কিন্তু কাউকে অপমান অপদস্ত করা, কিংবা পিটিয়ে আহত বা নিহত করে আনন্দ উল্লাস করা আমার দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে আছে কি-না তা আমার জানা নেই। তবে আমার দেশে সব সরকারের সময়ে-ই কমবেশি উল্লেখিত ঘটনা ঘটিয়ে গুটিকয়েক মানুষকে আনন্দ উল্লাস করতে দেখেছি আমরা।
আসছি মূল আলোচনায়: সম্প্রতি হামলার শিকার হয়েছে বিনোদন জগতের সকলের পরিচিত মুখ হিরো আলম। তাকে মারপিট করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুধু আমি নয়, বিদেশিরাও ব্যাথিত। কারণ তার উপরে এই নগ্ন হামলা অবশ্যই নিন্দনীয়।
হিরো আলম ছেলেটা আগে থেকেই উচ্চ বিলাসী, প্রচারমুখী ও নাছোড়বান্দা। সে নির্বাচন করবেই! ছাড় দেবেনা। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ তার সংবিধানসম্মত গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সাংবিধানিক অধিকার হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। যেখানে বড় বড় রাঘব বোয়ালেরা চুপ করে থাকে, টুঁশব্দও করে না, সেখানে গুলশানের মত এলাকায় তার নির্বাচনে যাওয়াটা অনেকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।
আমার মনে হয়, হিরো আলমের ভাবনা ছিল সে নির্বাচনে গিয়ে আরো জনপ্রিয় হবে, ভাইরাল হবে। যা হতেও পেরেছে। সে সাকসেসফুল। দেশের অসুস্থ রাজনীতির করুণ চিত্র পুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে। সেই হিসেবে হিরো আলমের সাহসের তারিফ করতেই হয়। কারণ সে হামলার শিকার হোক আর আহত হোক, এর বিচার পাক বা না পাক, নির্বাচন করে ফেল করলেও ছেলেটা বুক চিতিয়ে লড়তে জানে। হিরো আলম নামটা এখন জাতিসংঘের মুখেও উচ্চারিত হয়। কাজেই তাকে নিয়ে এতটা হাসাহসি করার সুযোগ নেই। কারণ কথায় আছে, দমন-পিড়ন, নানা নির্যাতন আর জেল জুলুম শেষে রাজপথ থেকেই পাক্কা নেতার জন্ম হয়। পাক্কা নেতা কিন্তু এসির ভিতর থেকে হয় না।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com