কাঁঠালিয়া সংবাদদাতা :বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ইউএনও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী প্রশাসনিক কমর্কর্তা নাইমুল ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ব্যাংক এবং ব্যক্তির মাধ্যমে অন্যত্রে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানায়, সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, স্বজন প্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে ইউএনও’র কথা বলে অনৈকিত কর্মকাণ্ড এখন টক অব দ্যা কাঠালিয়া পরিণত হয়েছে"
নাইমের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত খোঁদ প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলও। নাইমের এসব দুর্নীতি, অনিয়মের তদন্ত ও আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল কাঠালিয়া এলাকাবাসী। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে নাইমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তদন্ত করেন সেই খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাত্র কয়েক বছরে কাঠালিয়া থেকে অর্ধ কোটি টাকা পাচার করেন। পিআইও অফিসের লাখ টাকা উত্তোলন করে,এ ছাড়াও নাইমের বিরুদ্ধে গত ৮ বছরে থেকে কয়েক কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। পাচারকৃত এসব টাকা দিয়ে তিনি নিজের বাবার নামে বরিশাল বাড়ি করছেন বলেও সূত্র জানিয়েছে।তা ছাড়াও এমনকি অফিসের বই কিনার নামে টাকা আত্মসাৎ, এডিবির, টিআর, কাবিটা প্রকল্প ও ১ পার্সেন্টের টাকা ইউনিয়ন পরিষদের নামে সুষম বন্টন না করে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে নাইমের বিরুদ্ধে।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র আরো জানায় আশ্রয়ন প্রকল্প বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের জন্য মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে অনিয়ম, ইট ভাটার মালিকদের থেকে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে ইট ও টাকা আদায়, বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের নামে মাত্র একটি খেলার আয়োজন করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন দিবসের নামে টাকা আদায় ও খরচের নামে টাকা আত্মসাৎ, ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলা প্রশাসক উপজেলা পরিষদের পার্ক, মাঠ ভরাট ও পুকুরের গাইড ওয়াল নির্মাণের নামে একাধিক প্রকল্প দিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ। এ ছাড়াও প্রতিটি ঘর বাবদ ঘরের মালিকদের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এডিপি থেকে ৪টি প্রকল্প নিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের জন্য সেলাই মেশিন ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, কাঠালিয়া স্টেডিয়ামে চেয়ার সরবরাহের নামে টাকা আত্মসাৎ, উপজেলা কালচালার একাডেমির বিভিন্ন সংস্কার কাজের নামে টাকা আত্মসাৎ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০০টি চাদর ক্রয়ের নামে টাকা আত্মসাৎ, উপজেলা পরিষদের হল রুমের সংস্কার কাজের নামে টাকা আত্মসাৎ, নিজের বাসায় সংস্কারের নামে একাধিক প্রকল্প দেখিয়ে নামমাত্র কাজ করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার জন্য মোটা অংকের টাকাও বরাদ্ধ দেওয়া হয়। নাইম, নামমাত্র কর্মশালা দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। ইউএনও নাইমের এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ উপজেলায় সেবা নিতে গেলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন তিনি।
এ নিয়ে জনমনেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তিও। যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে জনবিষ্ফোরণ।আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের টিকিট দেয়নি, ভূমি অফিস থেকে জানায় নাঈম ভূমি অফিসের স্টাফদের ভয় দেখিয়ে কাজ করায়,কাঁঠালিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি জানান, আমরা এমনিতেই উপজেলার যে কোনও বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকি। কিন্তু চাপ প্রয়োগ করে কেউ কিছু করতে চাইলে তা সহ্য করার কথা নয়। তিনি নানা অজুহাতে আমাদের ইট ভাটা মালিকদের কাছ থেকে ইট আদায় করেন। না দিলে হুমকি দেন।এবিষয় নাইমুল ইসলাম নাইমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লেখলে কিছু হয়না বতর্মানে সরকার টিকিয়ে রাখছে প্রশাসন, কাঠালিয়া উপজেলা বতর্মান ইউএনও বলেন কেউ দুনীতি করলে কোনো ছাড় দেও হবে না, তৃতীয় পর্ব চোখ রাখুন চতুর্থ পর্বে