আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী)সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীবিরোধী শিবির রণেভঙ্গ দিয়েছে। এমপি ফারুক চৌধুরী জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না। বিভিন্ন চিপা-চাপা ও অলিগলি থেকে এমন গুজব ছড়িয়ে এমপিবিরোধীরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। কিন্ত্ত রাজনীতির মাঠে নামতে গিয়ে দেখছে ভিন্নচিত্র, এতে তাদের হুঁশ ফিরেছে,বগী আওয়াজ আর রাজনীতি এক বিষয় নয়। এমপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, গুজব, প্রোপাগান্ডা ও অপতৎপরতা করেও তৃণমূলের কাছে থেকে তেমন কোনো সাড়া ও তার বিরুদ্ধে জনসমর্থন না পেয়ে এমপিবিরোধীরা রণেভঙ্গ দিয়ে লেজ গুটিয়েছে। এতে এমপিবিরোধী শিবিরে নেমে এসেছে অমবশ্যার ঘোর অন্ধকার চোখেমূখে ফুটে উঠেছে হতাশার চিত্র।
এমপিবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা ও সংগঠন বিরোধী নানা কর্মকান্ড করেও এমপি ফারুকের জনসমর্থনের কাছে বার বার হার মানতে বাধ্য হয়েছে। ফারুক চৌধুরী কেনো মনোনয়ন পাবেন না, আর তাদের কেউ কেনো মনোনয়ন পাবেন তাদের কাছে তার কোনো ব্যাক্ষা নাই। যেখানে তানোর-গোদাগাড়ীর ৪টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের (ইউপি) প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এমপিকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
সেখানে তিনি মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন পাবেন কারা যারা শরৎকালের আকাশের সুর্যের মতো বিভিন্ন চিপা-চাপি ও অলিগলি থেকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে তারা ? যদি সেটা হয় তাহলে বুঝতে হবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, যে কারনে সাংগঠনিক ভিত্তি ছাড়া প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ফারুক চৌধুরী এমপি শহীদ পরিবারের সন্তান, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব। তিনি কখানো মনোনয়ন নিয়ে ভাবেন না বরং তাদের সুপারিশে দু'একজনের মনোনয়ন হয়। দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। যে কারণেে এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং জনমত গড়তে গিয়ে তারা বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন।
এমপিবিরোধী অপরাজনীতির কারণে তৃণমূল তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, এতে এমপির জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছে, এসব অপরাজনীতি বন্ধ না হলে নেতাকর্মীদের কাছে তাদের গণধাওয়া খাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে রাজশাহী-১ ভিআইপি এই সংসদীয় ছিল জামাত-বিএনপির ঘাঁটি। কিন্ত্ত এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপি-জামাতের ঘাঁটি হয়েছে তছনছ।
রাজশাহী-১ আসনটি ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাতের দখলে ছিল। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক অঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ওই সময়ে আওয়মী লীগের প্রকাশ্যে মিছিল-সমাবেশ তো দুরের কথা পোস্টার বিলবোর্ড সাটানো ছিল অনেকটা দুরুহ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের এমপি তো পরের কথা বাধাহীনভাবে দলীয় কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারাটাই ছিল অনেক বড় পাওয়া।
কিন্ত্ত ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন ফারুক চৌধুরী। তবে বির্তকিত ফলাফল ঘোষণায় তিনি পরাজিত হন। এর পর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে রাতারাতি পাল্টে যায় রাজনীতির চিত্র। তিনি তানোর-গোদাগাড়ীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত অবিরাম ছুটে চলেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার করতে।