মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু উত্তরা ঢাকা।। ঢাকা ১৮ আসনের দক্ষিণখান থানা এলাকায় সর্বত্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেন নবনির্বচিত এমপি খশরু চৌধুরী। মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণার কারনে নড়েচড়ে বসেছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্তাব্যাক্তিরা।
তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিনখান থানা এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবৎ ধড় পাকড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মাদক সেখানেই পুলিশের হানা। বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দক্ষিন খান এলাকার সুধী সমাজ। তবে পরিতাপের বিষয় হলো এই ধরপাকড়ের কবলে পড়ছে কিছু নিরীহ সাধারন মানুষ। মাদক ব্যবসায়ীরা সাধারণত চায়ের দোকান রিক্সার গ্যারেজ অটো গ্যারেজ কে নিরাপদ ও ব্যবসার জমজমাট স্থান মনে করায় সেখানেই তারা আস্তানা গড়ে তোলে। ঝামেলায় পড়তে হয় নিরীহ কিছু রিকশাচালক ও চা পান করতে যাওয়া কিছু সাধারন মানুষকে। নিরীহ মানুষগুলোকে ফাঁসাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সোর্স নামের কিছু অমানুষ। পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে তারাই যারা দীর্ঘদিন যাবত মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা সহ চুরি ছিনতাই রাহাজানিতে জড়িত। বেশকিছু দিন যাবৎ দক্ষিনখান থানার বালুর মাঠ,চালাবন মুজিবরের রিক্সার গ্যারেজ, আজমপুর কাঁচাবাজারের হাওয়াই রোড, গাওয়াইর,আশকোনা সহ বিভিন্ন জায়গায় সরে জমিনে অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীদের মধ্যে আব্দুল নামে এক ব্যক্তি জানান আমি আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এক লোক এসে আমাকে বলেন আপনাকে স্যার ডাকে। তার কথার কোন প্রতি উত্তর না করে আমি পুলিশের পোশাক পরিহিত একজন সাব ইন্সপেক্টর এর সামনে গেলে তিনি বলেন একেও সাইড কর।
কিছুক্ষণ পরে আমার স্ত্রী তার সাথে দেখা করলে সোর্স বলেন ৫০০০ টাকা নিয়ে আসো তাকে নিয়ে যাও। হাওয়াই রোডের রবিন নামে এক রিকশাচালক বলেন সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যার সময় বিশ্রামে ছিলাম একজন সোর্স পুলিশ নিয়ে এসে সবকিছু তছনছ করে কি যেন খুজতেছিলেন পরবর্তীতে কিছু না পেয়ে ওই সোর্স আমার কাছে থাকা ১৫০০ টাকা নিয়ে যান। তিনি আক্ষেপের সরে বলেন আমরা গরীব মানুষ অহেতুক জোট ঝামেলায় আমাদেরকে জড়ানো হচ্ছে।
এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী অনেক এলাকাবাসী জানান প্রায় সময় সোর্স দের হাতে হ্যান্ডকাপ দেখা যায়। তাদের প্রশ্ন হল এটা কিভাবে সম্ভব? বিষয়গুলো নিয়ে দক্ষিনখান থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এই পর্যন্ত আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি।
তিনি আরো বলেন অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিব। যদি অন্যায় ভাবে কারো কাছে টাকা দাবি করা হয় তার প্রমাণ পেলে বিভাগীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে। কিন্তু কেউ যদি মাদক সেবনের উদ্দেশ্যে তার নিজের কাছে মাদক রাখেন তাতেও তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। সোর্স দের ব্যাপারে তিনি বলেন পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোর্স নামের কিছু লোককে কিছুদিন আগেও চালান করেছি। মূলত তারা ছিল মাদক ব্যবসায়ী। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন ও বর্তমানে মাদকের যে ভয়াবহ অবস্থা তা নিয়ে টেলিফোনে কথা হয় দক্ষিনখান জোনের এসি রাকিবা ইয়াসমিনের সাথে। তিনি বলেন আমি প্রত্যেকটি মিটিংয়ে অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেছি মাদকের ব্যাপারে কোন আপোষ করবেননা।
তারপরও যদি কোন অফিসার কাউকে কোন অনৈতিক প্রস্তাব দেয় বা অন্যায় ভাবে কাউকে ফাঁসাতে চায় এমন অভিযোগ পেলে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার অফিসের দরজা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার সাধ্যের মধ্যে সেরাটা সেবা গ্রহীতাকে দেওয়ার জন্য।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com