সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী সমর্থিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষকদের উপরে হামলা চেষ্টার ঘটনায় আব্দুল মুহিত নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ মার্চ সামেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরী স্বাক্ষরিত সামেকহা/সাত/শা-১/২০২৪-৪৯৪ নং স্মারকে অভিযুক্ত দুই জনের মধ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিতের দুই মাসের ইন্টার্ণশিপ স্থগিত করে। তবে অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শংকর প্রসাদ বিশ্বাসের সাথে সখ্যতা থাকায় তানভীর আহমেদ নামে অপর এক সামেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সামেক কর্তৃপক্ষ। আর তদন্ত কমিটির এমন দ্বৈতনীতির ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক শিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিত, সামেক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও অনেকে আওয়ামী সমর্থিত ইন্টার্নি চিকিৎসকসহ শিক্ষকদের উপরে হামলার চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও বহিরাগতদের নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন ইন্টার্নি চিকিৎসক মুহিত ও তানভীর। যার পুরো বিষয়টি রেকর্ড হয় সিসি ক্যামেরায়। পরবর্তী এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর তদন্ত কার্যক্রম শেষে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৭ মার্চ ইন্টার্ন ডা. আব্দুল মুহিতকে দুই মাসের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করে। তবে এঘটনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তানভীর আহমেদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সামেক কর্তৃপক্ষ।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ শিক্ষকরা জানান, তদন্ত কার্যক্রমে দ্বৈতনীতির আশ্রয় নিয়েছে সামেক কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা করেননি তদন্ত কমিটি সামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শংকর প্রসাদ বিশ্বাসের সাথে অভিযুক্ত তানভীর আহমেদের সখ্যতা থাকলে তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেইনি। এ ঘটনার রেকর্ড দুটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে তার সত্যতা মেলে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিত দাবি করেন, ওইদিন এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করলেও ঘটনার বিষয়ে কোনকিছু খোলাসা করেননি তিনি।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান সামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: শংকর প্রসাদ বিশ্বাস এবং সামেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com