আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামে বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন—উপজেলার বড়খাতা রমনীগঞ্জ এলাকার আব্দুর রহমান (৪৫), তাঁর স্ত্রী সাহিনা আক্তার সাইনা (৪০), তাঁর মেয়ে কনে রুমানা আক্তার লিমা (১৯), ছেলে সাকিল (২২), সাইদের স্ত্রী হালিমা বেগম এবং অপর পক্ষে একই এলাকার আমির আলী (৫৫), রুহুল আমিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৪) ও নজরুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড়খাতা রমনীগঞ্জ এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে রুমানা আক্তার লিমার বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিরা ওই বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। কিছুক্ষণ পর বর পক্ষ আসবে
সেই অপেক্ষায় ছিলেন কনেপক্ষ।
একই সময় পাশের বাড়ির আমির আলীর বাড়িতে চলছিল মিলাদ মাহফিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজানোয় মিলাদে বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বিয়ের বাড়ির সাউন্ড বক্সের শব্দ কমাতে বলা হয়। তারা শব্দ না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়ে দিলে প্রথমে তর্ক বিতর্ক হয়। পরে তা সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। এতে বিয়ের অনুষ্ঠানের কনেসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে হাতীবান্ধা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জনকে ভর্তি করে।
হাসপাতালের বেডে থাকা কনে রুমানা আক্তার লিমা বলেন, ‘আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে বক্স বাজিয়ে গান শুনছিল ভাই। এ সময় আব্দুর রহমানের ছেলে এসে ভাইকে মারধর করে। একে একে তারা এসে বিয়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। খাবার সব নষ্ট করেছে তারা।’
আমির আলী বলেন, ‘মিলাদে বিঘ্ন ঘটে উচ্চ শব্দের সাউন্ড বক্সের গান বাজনা। তাই প্রথম দিকে শব্দ কমিয়ে দিতে বলা হলে তারা উল্টো বাড়িয়ে দেয় এবং গাল মন্দ করে। এ নিয়ে তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে জখম করেছে।’
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. আল আকসা বলেন, আহতদের ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়া মাত্র অফিসার পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।