রাঙামাটিতে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানি কমাতে এবার চার ফুট করে বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। স্পিলওয়ে ও প্রধান বাঁধের ঝুঁকি কমাতে তৃতীয় দফায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ পানি অপসারণ অব্যাহত রেখেছে।
রোববার থেকে দুই ফুট খোলা থাকলেও সোমবার সকালে তা আরও দুই ফুট বাড়ানো হয় বলে জানান কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের।
জানা যায়, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে হ্রদের উজানে থাকা আসাম, মিজোরাম, ফারুয়া, বিলাইছড়ি, বরকল, নানিয়ারচর, বড় হরিণা, ছোট হরিণাসহ বিভিন্ন খাল, ছড়া ও পাহাড়ি ঢলের পানি কাপ্তাই হ্রদে জমা হতে থাকে। উজান থেকে নেমে আসা পানির এই ঢলে কাপ্তাই হ্রদ কানায় কানায় ভরে বিপদসীমায় পৌঁছেছে।
এমন অবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ৪ ফুট করে বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে পানি নিষ্কাশন অব্যাহত রেখেছে পিডিবি। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৬৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলিতে নিস্কাশিত হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের সময় সংবাদকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ১০৯.৭৪ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
তিনি আরো বলেন, পানি অতিরিক্ত বাড়ায় প্রতিটি গেট চার ফুট উচ্চতা রেখে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৬৯ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com