আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণার পর পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। শনিবার জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে রাতেই কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন অনেকে।
তাঁরা হলেন জেলা যুগ্ম সদস্যসচিব কামরুজ্জামান সুমন, তানভীরুল ইসলাম, সায়েম আদনান অরকু, জোনায়েদ হোসেন আবির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাহমুদুল হাসান আবীর, হাসান আল মোহসিন, রবিউল ইসলাম রানা ও রুবায়েদ খন্দকার প্রান্ত।
এই কয়েকজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে পদত্যাগের এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এই সংখ্যা ১৮–২০ হতে পারে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত ১১০ সদস্যের লালমনিরহাট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে শামস্ বিন শাহারিয়ার নাঈমকে আহ্বায়ক, হামিদুর রহমানকে সদস্যসচিব ও সবুজ মিয়াকে মুখ্য সংগঠক করা হয়।
কমিটি ঘোষণার পর রাতেই অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস ও লাইভে বক্তব্য দেন। যা ফেসবুকে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
তাঁদের অনেকেই দাবি, যাঁরা আন্দোলনে কোনো ভূমিকা রাখেননি তাঁদের তদবিরের মাধ্যমে নেতা বানানো হয়েছে। অপর দিকে, অনেকেই আন্দোলনের শুরু থেকে কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেও কোনো সম্মানজনক পদ পাননি। বৈষম্যবিরোধী কমিটিতেও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগের স্ট্যাটাস দিয়ে কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ‘যে কমিটিতে ত্যাগীদের নাম নেই। সেই কমিটিতে নিজের নাম দেখতে চাই না। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’