মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ঢাকা।। রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার সর্বত্র মাদকের ছড়াছড়ি।প্রত্যেকটি এলাকার মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাংদের আড্ডায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এ সকল কিশোর গ্যাংরা গাঁজা থেকে শুরু করে ট্যাপেনডেনাল পর্যন্ত হরহামেশা সেবন করে থাকেন। নেশার টাকা সংগ্রহ করতে তারা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, ময়লা, ডিশ, ইন্টারনেট সহ রাস্তাঘাট এর ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। নতুন কোন ভবন নির্মাণ করতে গেলেই তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে।
অগত্যা অনেক ভুক্তভোগীকেই দেখা যায় নীরবে চাঁদা দিয়ে যেতে। এখানেই তাদের দাপট শেষ নয়। চঁাদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে দেখা যায় দ্বন্দ্ব সংঘাত। এই দ্বন্দ্ব এমন আকার ধারণ করে যে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে বিভিন্ন রকমের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করতে। উঠতি বয়সী কিশোর গ্যাংরা ইস্কুল কলেজের মেয়েদের দেখলেই বাজে ইঙ্গিত করেন। এমনকি মাছ বয়সী নারীরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পান না। তাদের কৃতকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলেই তারা নিজেদেরকে বর্তমানের জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেয়।
তাদেরকে প্রায় সময় বলতে শোনা যায় আমি অমুক ভাইয়ের লোক আমি তমুক ভাইয়ের লোক। ইতিমধ্যেই এই চাঁদাবাজি নিয়ে দক্ষিণখান থানায় দু একটি মামলা হওয়ার খবর শোনা যায়। মূলত এই নেশাখোরেরা রাতের অন্ধকারে এলাকায় চুরি ছিনতাই এর মত জঘন্য কাজে লিপ্ত। লোকমুখে শোনা যায় এদের সাথে সখ্যতা রয়েছে এলাকার কিছু ভাঙারি দোকানদারের সাথে। এছাড়াও জনগণকে বলতে শোনা যায় ৫ ই আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছিল সেই বিপ্লবের পর থেকে পুলিশ কেন যেন নিষ্ক্রিয়। থানায় প্রবেশ করলেই দেখা যায় নতুন নতুন মুখের কিছু লোক। অনেক সাংবাদিক বলেন বিগত ১৬ বছরে এদের কে এলাকায় বা থানায় দেখতে পাইনি। মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ে ডিএমপি দক্ষিণখান জোনের এসি নাসিম সাহেবের সাথে মুঠ ফোনে কথা হলে তিনি উক্ত প্রতিবেদক কে বলেন আমার নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকায় ছিনতাই প্রতিরোধে আমরা বিশেষ টিম গঠন করেছি এবং এর সূফলও ইতিমধ্যে পেয়েছে এলাকার জনগন। কিশোর গ্যাং নিয়েও আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তথাপিও আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা এদেরকে একেবারেই নির্মূল করে ছাড়বো। মূলত এরাই মাদক সেবী।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com