২০২৫ সালের বিশ্ব এক সূক্ষ্ম অথচ ভয়াবহ সঙ্কটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়ছে, বাণিজ্য ঘাটতির চাপ বেড়েই চলেছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে, আর গ্রহ–নক্ষত্রিক অস্থিতিশীলতা এই সকল অস্থিরতাকে জ্বালানি দিচ্ছে। আমার গবেষণালব্ধ জ্যোতিষ বিশ্লেষণে প্রকাশ পেয়েছে—বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটোর বিরল সংযোগ বিশ্বব্যবস্থার ভারসাম্য ভাঙনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই নিবন্ধে আমরা দেখব কীভাবে এই সংকটগুলো পরস্পর সংযুক্ত, কেন পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে, এবং কীভাবে বিশ্বনেতা ও সাধারণ মানুষ তাদের করণীয় ঠিক করতে পারেন।
বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য ঘাটতি
মন্থর প্রবৃদ্ধি:
২০২৫ সালে বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার ঐতিহ্যগত ৩–৪% থেকে নেমে ২%-এর কাছাকাছি আসবে। ব্যবসায় স্বচ্ছতা হ্রাস, শুল্কনীতি কঠোর হওয়া এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে নতুন বিনিয়োগে ভাটার টান সৃষ্টি হবে।
বাণিজ্য ঘাটতির বাড়বাড়ন্ত:
বিশ্ব বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য বিশাল ঘাটতির দিকে যাচ্ছে। পণ্য-ভিত্তিক বাণিজ্যে ঘাটতির হার ১০% ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা মুদ্রানীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
ভূ রাজনৈতিক উত্তেজনা
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তাপ:
শনি ও নেপচুনের বিরল সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষত ইরান ও আশেপাশের অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠিত হচ্ছে। গোপন সমঝোতা ভেঙে নতুন সংঘাত ও অরাজকতার জন্ম দিচ্ছে এই গ্রহ–সংযোগ।
ভারত–পাকিস্তান সংঘাত:
বৃহস্পতির মিথুন রাশিতে তীক্ষ্ণ অবস্থান কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা জাগাচ্ছে। ক্ষুদ্র সংঘর্ষগুলো যে কোনো সময় বৃহৎ সংকটে রূপ নিতে পারে।
চীন–ভারত–বাংলাদেশ রাজনৈতিক টানাপোড়েন:
ইউরেনাস মিথুন রাশিতে প্রবেশ করায় চীনের সীমান্ত কৌশল আরও কড়া হচ্ছে। বাংলাদেশে নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতিগত দ্বন্দ্ব এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টে ভারতের আগ্রাসী নীতি আরও তীব্র হতে পারে।
গ্রহ নক্ষত্রিক বিশ্লেষণ
বৃহস্পতি (Jupiter): মিথুনে অবস্থান করে তথ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভ্রান্তি ও বিভাজন সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়াবে।
শনি (Saturn): মীন রাশিতে কঠোর নিয়ম ও মানসিক চাপ বাড়াবে, সমাজে বিভাজন তীব্রতর হবে।
ইউরেনাস (Uranus): মিথুনে প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সূচনা ঘটাবে, তবে প্রচলিত কাঠামোয় বিদ্রোহ আনবে।
নেপচুন (Neptune): মেষ রাশিতে আবেগপ্রবণতা, আদর্শিক উন্মাদনা ও সামাজিক মতবিরোধ বাড়াবে।
প্লুটো (Pluto): কুম্ভে প্রবেশ করে পুরনো কাঠামো ভেঙে নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যূহ রচনা করবে, যা অস্থিরতাও তৈরি করতে পারে।
পরিস্থিতি কেন আরও অবনতির দিকে যাবে?
অর্থনৈতিক দুর্বলতা: ধীর প্রবৃদ্ধি ও ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতির কারণে বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা বাড়বে।
রাজনৈতিক সংঘাত: মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়া-প্যাসিফিকে সম্ভাব্য সংঘাত জ্বলতে শুরু করেছে।
জ্যোতিষীয় অস্থিরতা: গ্রহ-নক্ষত্রের বিরল ও সংঘাতময় অবস্থান বিশ্বজুড়ে সমাধান প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে।
করণীয়: করুণার আলোতে করণীয় নির্ধারণ
বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান:
কূটনৈতিক সংলাপ অবিলম্বে শুরু করে সীমান্ত ও সামরিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে হবে।
অর্থনৈতিক সমঝোতা গড়ে তুলে বিশ্বে বাণিজ্য শুল্ক ও মুদ্রানীতিকে স্থিতিশীল রাখতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে হবে।
সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান:
ঐক্য ও সহানুভূতি জাগিয়ে মানবিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে।
আধ্যাত্মিক অনুশীলন — নামাজ, ধ্যান, ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী শ্ব-শ্ব জাতি ধর্ম গোত্রে প্রার্থনা বা অন্য ধর্মীয় সাধনার মাধ্যমে মানসিক শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।
প্রার্থনা করতে হবে শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবতা রক্ষার জন্য।
উপসংহার:
বিশ্বব্যাপী শান্তি, সমতা এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের প্রত্যেককে জ্যোতিষজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক চেতনার আলোকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞান ও বিশ্বাসের মেলবন্ধনে সত্যের পথে এগিয়ে গিয়ে আমরা একটি মানবিক বিশ্ব গড়তে পারি।
এ্যাস্ট্রোলোজার ছালাম শিকদার
ঢাকা
২৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
প্রয়োজনে- WhatsApp: 01712-978539
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com