পটুয়াখালীর মহিপুর থানার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল দুই দলেই একই পদে দায়িত্ব পালন করছেন এক যুবক। একসময় কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন সাকিব আল হাসান রাফি। এখন একই কলেজের ছাত্রদলের নতুন কমিটিতেও তাকে ‘প্রচার সম্পাদক’ করা হয়েছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
জানা গেছে, গত ৬ মে কলেজ শাখা ছাত্রদলের ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মো. রবিউল ইসলামকে সভাপতি ও আসিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। নবম সদস্য হিসেবে ‘প্রচার সম্পাদক’ পদে রাখা হয় সাকিব আল হাসান রাফিকে, যিনি এর আগে ছাত্রলীগের একই পদে ছিলেন।
এ কমিটির অনুমোদন দেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী ও সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ।
তবে বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ উঠেছে, নতুন কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলামও একসময় কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পুরানো ছবিও ঘুরছে, যেখানে তাকে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজ ও থানা ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতারা। তাদের দাবি, ত্যাগী ও আদর্শবান নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম রুপু বলেন, ‘এই কমিটিতে যারা বছরের পর বছর ছাত্রদলের রাজনীতি করেছে, তাদের মূল্যায়ন হয়নি। একটি পক্ষ চক্রান্ত করে বিতর্কিত লোকজনকে বসিয়েছে। আমরা এই কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নতুন সভাপতি রবিউল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে যে ছবিগুলো ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো আমাকে দিয়ে জোর করে তোলা হয়েছিল। আমি অনেক আগে থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এসব ছবি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। অনেকে বলছে, এই রাফি, সেই রাফি না। পুরো বিষয়টি আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com