সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান টাকার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ৮ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিয়াম মাঝির বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার শিকার ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্টিমের ধর্ষণ চেষ্টার আলামত সংগ্রহ ও জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য মুন্সীগঞ্জে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গেলো সোমবার দুপুরে ধর্ষন চেষ্টার শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী (৮) আম কুড়াতে বাড়ির পাশে পুকুড় পারে যায়। পুকুর পাড়ে পাশে জনৈক রাজীব মিয়ার আম বাগানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা চন্দনধূল গ্রামের মোতালেব মাঝির ছেলে সিয়াম মাঝি মাদ্রাসার ছাত্রীকে ৫শত টাকার লোভ দেখিয়ে তার সাথে যেতে যেতে বলে। এতে ওই ছাত্রী তার সাথে যেতে অনিহা প্রকাশ করলে সিয়াম মাঝি জোরপূর্বক তাকে আম বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রী ঘটনার বিষয় তার দাদী রিনা বেগমকে জানায়। পরে তাকে তার পিতা মাতা ওই দিন সন্ধ্যায় সিরাজদিখান থানায় নিয়ে যান। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা এরশাদ ঢালী বলেন,দুই সপ্তাহ আগে সিয়াম মাঝিকে মাদ্রাসায় ও হাজী মাসুদ রানার বাড়ি চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী একত্রে মিলে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলো। রাজীব মিয়া,রাজন মিয়া গংদের সহযোগীতায় জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আবার চুরি ও গরীব মানুষের মেয়েদের ধর্ষন শুরু করেছে। আমরা সিয়াম মাঝির সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোঃ সিয়াম মাঝি পলাতক রয়েছে। ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রী চন্দনধূল গ্রামের হাজী আব্দুল হাই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার শিশুকন্যাকে সিয়াম মাঝি ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবি করছি। সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি ) শাহেদ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভিকটিমের জবানবন্দির জন্য মুন্সীগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।