সকাল ১০টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল দীপকের। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এআই ১৭১ বিমানটি ভেঙে পড়ে অহমদাবাদের মেঘানিনগরে। দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছেছিল ঠাণেতেও।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই মনটা উথালপাথাল করছে তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের ঠাণের যুবক দীপক পাঠকের। অভিশপ্ত সেই বিমানের কেবিন ক্রু দীপক। রওনা হওয়ার আগে মাকে ফোন করে ‘সুপ্রভাত’ বলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
সকাল ১০টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল দীপকের। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এআই ১৭১ বিমানটি ভেঙে পড়ে অহমদাবাদের মেঘানিনগরে। দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছেছিল ঠাণেতেও। সেই খবর পাওয়ার পরই দীপকের মা লাগাতার তাঁর পুত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চলেছেন। দীপকের বোন জানিয়েছেন, ফোন বেজে চলেছে। কিন্তু কেউ ধরছেন না। এক আত্মীয় জানিয়েছেন, দীপকের মা পুত্রের মোবাইলে ক্রমাগত ফোন করে চলেছেন। আর বলছেন, ‘‘যত ক্ষণ ফোন বেজে যাবে, আমার ছেলের কোনও অঘটন হয়েছে, এ কথা বিশ্বাস করব না।’’ কিন্তু বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট, ক্রু সদস্য এবং যাত্রী-সহ ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে দীপকের মায়ের বিশ্বাস তাঁর পুত্রের কোনও কিছু হয়নি।
‘সব ছেড়ে তোমার দেখাশোনা করব বাবা’, নবতিপর বৃদ্ধকে কথা দিয়ে এসেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট, ফেরা হল না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপকেরা পাঁচ ভাইবোন। চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল দীপকের। ১১ বছর কেবিন ক্রু-র কাজ করেছেন তিনি। দীপকের বোন বলেন, ‘‘মা সর্ব ক্ষণ দাদার কথা জিজ্ঞাসা করে চলেছে। কবে বাড়িতে ফিরবে দাদা, বার বার জিজ্ঞাসা করছে।’’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটি ওড়ার পর পরই লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে অহমদাবাদে। বিমানটি লন্ডনে যাচ্ছিল। তার আগেই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com