রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
শেরপুরে বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাটসহ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ১৩ জুন শুক্রবার রাতে ১৩ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. মকছেদ। এর আগে গত ১১ জুন সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা গ্রামে এ হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চরশেরপুর গ্রামের বাসিন্দা কমছের আলী বছর খানেক আগে পার্শ্ববর্তী যোগিনীমুরা গ্রামে একখণ্ড জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে তার ভাই মো. মকছেদসহ পরিবারের অন্যান্য নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি।
বসতবাড়ি নির্মাণ করার পর থেকেই স্থানীয় জুলহাস মাস্টারসহ স্থানীয় কয়েকজনের সাথে রাস্তা নিয়ে বাধে বিপত্তি। জুলহাস মাস্টারসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন কমছের আলীর বাড়ির মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা দাবি করেন। এ নিয়ে এলাকায় শালিস-দরবারও হয় বেশ কয়েকবার।
এদিকে মকছেদ ও কমছের আলী পরিবার সকলের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে বিনাখরচে বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা দিতে চাইলেও বাড়ির মাঝখান দিয়ে ঘর ভেঙে রাস্তার দাবিতে অনড় থাকেন জুলহাস মাস্টারসহ অন্যান্যরা। এক পর্যায়ে গত ১১ জুন বুধবার দুপুরে কমছের আলীর বাড়িতে গিয়ে মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালান তারা। এতে আহত হন কমছের আলী। একই সাথে কমছের আলীর মালিকানাধীন কলার বাগান থেকে কলার ছড়ি কেটে নিয়ে যায় আসামিরা।
ওই ঘটনায় কমছের আলীর ভাই মকছেদ আলী বাদী হয়ে থানায় জুলহাস মাস্টার, তার ছেলে নিয়াজ ও রিয়াজ, নয়ন, নাজমুল, আলমসহ ১৩জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বাদী মো. মকছেদ জানান, আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি হওয়ার পরও সকলের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বাড়ি ভেঙে ভেতর দিয়ে রাস্তা চায়। এ নিয়ে অনেকবার বিচার শালিসও হয়েছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কিছুই মানতে চায় না। আমাদের ওপর আক্রমণ করতে আসে। বাঁধা দিতে গেলে সংঘবদ্ধ হয়ে লোকজন নিয়ে হামলা করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জুলহাস মাস্টার বলেন, এই জমির উপর দিয়ে দীর্ঘদিনের যাতায়াতের পথ। আমরা এই রাস্তা দিয়ে আমরা ওনেক আগে থেকেই যাতায়াত করি। তারা বাড়ি তৈরি করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এর জন্য স্থানীয়রা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পেরে ক্ষোভে ভাঙচুর করেছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com