কে এম শাকীর,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ডক্টর মাহমুদা খাতুন। এ নিয়ে গোটা উপজেলা জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে গত ১৯ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি না নিয়ে গোপনে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেনকে ম্যানেজ করে বাহাগিলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনের দুটি রুম নিলাম ছাড়াই ভেঙে ফেলে ইট বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক। ২০ জুন রাতে ওই রুমের ইট গোপনে ট্রলিতে করে সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী সেই ইটসহ ট্রলি আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। ২১ জুন সকালে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন হেলাল ও কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ইট গাড়ি থেকে নেমে রেখে চলে আসেন। ঘটনার পরের দিন এলাকাবাসী ২২ জুন ইট চুরির মূল ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। অভিযোগ দেয়ার পরেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অফিসারকে প্রধান করে ও আর একজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। যাহা সম্পূর্ণ রুপে লোক দেখানো ও বিষয়টি নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার একমাত্র অপচেষ্টা বলে জানান এলাকাবাসী। রবিবার ওই তদন্ত কমিটি স্কুলে তদন্ত করতে গিয়ে পড়েন এলাকাবাসীর তোপের মুখে। তদন্ত কমিটিকে এলাকাবাসী প্রশ্ন করেন আপনারা কিসের ভিত্তিতে তদন্ত করতে আসেন প্রতিত্তুরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলেন একটি মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে এসেছি আমরা। তখন এলাকাবাসী তদন্ত কমিটির উপর ক্ষিপ্ত হলে তদন্ত টিম তদন্ত না করে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
বাহাগিলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবনীর মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন হেলাল ফোন রিসিভ করে ব্যস্ততা দেখে কল কেটে দেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ডক্টর মাহমুদা খাতুনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্কুলের পরিত্যাক্ত বিল্ডিং ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে বলেন,এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার,প্রধান শিক্ষকসহ ৪ সদস্যের একটি কমিটি রেজুলেশন করে বিল্ডিং ভেঙে ফেলে। সহকারী শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষক মিলে পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভাঙ্গার নিয়ম আছে কি না? জবাবে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হকের সরকারী মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন,প্রধান শিক্ষিকা ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কোন ভাবেই রেজুলেশন মূলে পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভাঙতে পারবে না। পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভাঙ্গার নিয়ম হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেজুলেশন করে নিলামের মাধ্যমে বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে পারেন। এ ব্যতয় ঘটলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
অপরদিকে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অফিসার কোন ভাবেই তদন্ত কমিটিতে থাকতে পারবে না। আমি বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানাচ্ছি। তবে সংবাদকর্মীরা সহযোগী করলে মূল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি আশা করেন।# সাথে ছবি আছে।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com