সিরাজদিখান প্রতিনিধি:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আল-আমিন (৩২) নামে এক যুবকের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার শিকার ওই যুবকের বাবা দানিয়াপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম শেখ বাদী হয়ে ৪ জন এজাহার নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর—১৩।
দায়েরকৃত মামলায় সিরাজদিখান উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য শেখ মো. সিফাতুল ইসলাম জনিকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া তার স্ত্রী রেহেনা সুন্দরী, ছেলে বিল্লাল ও আনোয়ার নামে আরও একজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে জনির দাবি, ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং এ ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গত বুধবার এক সংবাদিক সম্মেলনে জনি দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে ও তার পরিবারকে এই মামলায় জড়িয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় আল-আমিন লোকজন নিয়ে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরনের খিলগাঁও গ্রামে এক দোকানের চুরি হওয়া মালামালের সন্ধানে যান এবং বিভিন্ন বাড়িতে খোঁজ করেন। এ সময় স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় জনি রাজনৈতিক এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আব্দুল্লাহপুরে ছিলেন বলে হামলার সময় উপস্থিত আল-আমিনের সঙ্গীদের বরাতে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, হামলার শিকার আল-আমিন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় থেকে নারী দিয়ে মানুষকে ফাঁসিয়ে চাঁদা আদায়কারী একটি সিন্ডিকেটের মূল হোতা। কয়েক মাস আগে মধ্যপাড়ার এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং সে মামলায় গ্রেফতার হয়ে কয়েক মাস কারাভোগও করেছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, আল-আমিন নানা অজুহাতে মানুষকে তার বসানো মিনি পতিতালয়ে ডেকে এনে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজি করত। এসব ঘটনার পর থানা পুলিশের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাকে ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে বহিষ্কার করেন। এ নিয়ে এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার বাদী মো. ইব্রাহিম শেখ তার ছেলের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ :
বাসা নং-১৯, ৫ম তলা, রোড-৭/এ,
ব্লক-বি, বারিধারা, গুলশান, ঢাকা-১২১২
সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমা সুলতানা নীলা
মোবাইল: ০১৬২২৩৯৩৯৩৯
ইমেইল: nazmaneela@gmail.com