
১৬ জানুয়ারি রোজ শনিবার রাত ৯.৫০ ঘটিকায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতাদের নামে মামলা দায়ের করেন প্রফেসর ডক্টর মোঃ নাজমুল হক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত)। প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক বলেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতারা তাঁকে অবরুদ্ধ করে সমসাময়িক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ বিষয়ে জানতে চান অপ্রীতিকর শব্দ চয়নের মাধ্যমে । প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক অশ্লীল শব্দের ব্যবহার কেন করছেন জানতে চাইলে বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতারা প্রাণ নাশের হুমকি দেন। তিনি যোগদান করার পরপরই এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক বলেন” তাদের এমন হুমকি তে আমি আতংক গ্রস্থ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি”।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেরোবির একজন শিক্ষক সাংবাদিক কে জানান যে ” বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সচল অবস্থার অচল করার নিমিত্তে বেরোবির বর্তমান প্রশাসন কে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা প্রদান করছে।”
এজাহারে আসামিপক্ষের নামগুলো নিম্নে ক্রমাঅনুসারে দেওয়া হলঃ-
১. ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ডক্টর মোঃ মতিউর রহমান
২. পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ডক্টর মোঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার
৩. রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম তরিকুল ইসলাম
৪. লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল
৫. ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম
৬. প্রশাসন শাখার এ.টি.জি.এম গোলাম ফিরোজ (সাময়িক বরখাস্ত )
৭. সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদ আলী (সাময়িক বরখাস্ত )
৮. লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাব্বির চৌধুরী
৯.অজ্ঞাতনামা কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।
উক্ত সকল আসামিই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের।
উল্লেখ্য গত ১৪ জানুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতাদের নামে সাধারণ ডাইরি করেন মোঃ সামসুল হক উপ পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক বেরোবি।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন পিপলস নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন - feature.peoples@gmail.com