
২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ও পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের তুলে দিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জলকামান নিয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত না হয়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে এবং উপস্থিত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে একটি করে লাল গোলাপ দেয়। পুলিশও সেটি গ্রহণ করে থেমে যায়।
পড়ে অবশ্য বিকেল চারটার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত কলেজের চলমান পরীক্ষা আগের মতোই চলবে। কোনো তারিখ পরিবর্তন হবে না।
যে তারিখ ছিল ওই তারিখেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের খবর পেয়ে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানায়। এরপর শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে চলমান পরীক্ষাসমূহ নেওয়ার দাবিতে বুধবার সকালে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট সড়কে অবস্থান নেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তার সেশনজট থেকে মুক্তির দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে আজিমপুর, নিউমার্কেট ও নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গন্তব্যমুখী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
একইদিন সকাল থেকে সদরঘাটে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেওয়ার কথা জানান।
এ সময় ‘পরীক্ষা নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না’, ‘চলমান পরীক্ষা নিতে হবে নিতে হবে, ‘সাত কলেজের পরীক্ষা নিতে হবে নিয়ে নাও,’ ‘ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিতে হবে নিতে,’ ‘দাবি মোদের একটাই-মার্চে হল-ক্যাম্পাস খোলা চাই,’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
পিএন/এএজি
পরীক্ষা, পুলিশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীরা, সড়ক অবরোধ
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন পিপলস নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন - feature.peoples@gmail.com