

শেখ নজরুল ইসলামশরীয়তপুর ঃ শরীয়তপুরের জাজিরা কাজির হাটের এক ব্যবসায়ির কাছে চাদার টাকা না পেয়ে মারধর করানোর অভিযোগ উঠেছে কর্নেল রাসেল এর বিরুদ্ধে ! এই বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানায় একটি এজাহারের আবেদন হয়েছে ৷
এজাহার সূত্র থেকে জানতে পারি,কাজির হাটের আরিফ মেশিনারিজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ ইউসূফ শনি(৪৫) পিতা সিরাজ শনি,থানা শিবচর,জেলা মাদারীপুর,এর সাথে কর্নেল রাসেলের এর ব্যবসায়িক বিষয়াদি নিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল ৷ কর্নেল রাসেল বিভিন্ন সময় চাদা দাবি করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং কাজির হাটে ব্যবসা করতে দিবেনা বলে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখাইয়া ১১,৫০,০০০/-(এগার লক্ষ পঞ্চাশ হাযার)টাকা নেয়৷ এমতাবস্থায় আবারও ১০,০০,০০০/-দশ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করলে ইউসূফ শনি চাদা দিতে অস্বীকার করে ৷ তারই ধারাবাহিকতায় কর্নেল রাসেলের হুকুমে রাম দা,সেন দা,চাইনিজ কুড়াল,রড,হাতুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে-রিপন মুন্সী,স্বপন মুন্সী,মোবারক মোল্যা,সুমন মোল্যা,শিমুল মোল্যা,ফয়সাল কাজি,রাসেল কাজী,রিয়াজ কাজী,স্বপন পাঠান,সুজন মোল্যা,পাবেল মোল্যা,জাহাঙ্গীর মোল্যা,নাসির মোল্যা,রোকন কাজী,দিপু ফকির,সেলিম মুন্সী,বাদশা মুন্সী,মোতালেব মাদবর,জাহাঙ্গীর মাদবর,মাসুদ মাদবর,সুজন মাদবর,মালেক চৌকিদার,শাহ আলম ফকির,শামিম মোল্যা সহ আর ১৫/১৬ জন ইউসুফ শনিকে মারধর করে তার কাছে থাকা ৮লক্ষ টাকা ও ১ভরি২আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৷
প্রত্যাক্ষদর্শি কাদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জাহাঙ্গির বেপারি ও কাদির মোল্যা বলেন,কাজির হাটের সুলতান সিকদারের রড সিমেন্টের দোকানের সামনে গেলে ২০/৩০ জনের একটি দল রড,হাতুরি,রেন্সি ও লাঠি সোটা নিয়ে ইউসুফ শনিকে হটাৎ গতিরোধ করে আঘাত করতে থাকে আর বলে কর্নেল রাসেলকে কি বলছোছ,তার কথা সোনোছ না কেন ৷ এই বলে অনেকক্ষন আঘাত করতে থাকে ৷ আমরা ছাড়াইতে গেলে আমাদের উপর চরাও হয় ৷ এরপর অনেক মারধর করে তার সাথে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ফেলে রাখার পর আমরা ইউসুফ শনিকে উদ্ধার করে জাজিরা হাসপাতালে ভর্তি করি ৷ কর্তব্যরত ডাক্তার শারিরিক অবস্থা আশংক্ষাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পেরন করেন ৷
আহত ইউসুফ শনির সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন-কর্নেল রাসেলের সাথে আমার ব্যবসায়িক বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ৷ কর্নেল রাসেল বিভিন্ন সময় চাদা দাবি করে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং কাজির হাটে ব্যবসা করতে দিবেনা বলে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখাইয়া ১১,৫০,০০০/-(এগার লক্ষ পঞ্চাশ হাযার)টাকা নেয়৷ এমতাবস্থায় আবারও ১০,০০,০০০/-দশ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করলে ইউসূফ শনি চাদা দিতে অস্বীকার করে ৷ তারই ধারাবাহিকতায় কর্নেল রাসেলের হুকুমে রিপন মুন্সী,স্বপন মুন্সী,মোবারক মোল্যা,সুমন মোল্যা,শিমুল মোল্যা,ফয়সাল কাজি,রাসেল কাজী,রিয়াজ কাজী,স্বপন পাঠান,সুজন মোল্যা,পাবেল মোল্যা,জাহাঙ্গীর মোল্যা,নাসির মোল্যা,রোকন কাজী,দিপু ফকির,সেলিম মুন্সী,বাদশা মুন্সী,মোতালেব মাদবর,জাহাঙ্গীর মাদবর,মাসুদ মাদবর,সুজন মাদবর,মালেক চৌকিদার,শাহ আলম ফকির,শামিম মোল্যা সহ আর ১৫/১৬ জন আমাকে চাপাটি,রাম দা,সেন দা,চাইনিজ কুড়াল,রড,হাতুরি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে আমার কাছে থাকা ৮লক্ষ টাকা ও ১ভরি২আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৷ এখন আমি এই বিষয়ে মামলা যাতে না করি তার জন্য আমাকে অনেক ভয়ভীতি দেখাইতাছে ৷
তিনি আরও বলেন,আজ ২৫ মে বুধবার অভিযোগ বার্তা সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে ৷ যা সম্পুর্ন আমাকে হেও পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ৷ আমি এর তিব্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ৷
এই বিষয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাসেল মোড়ল(কর্নেল রাসেল) বলেন, আমি সুনছি কাজির হাটের কিছু পোলাপানের সাথে হাতাহাতি হয়েছে ৷
এই ব্যপারে আমি কিছুই জানি না জাজিরা থানার ওসি মিন্টু বৈদ্যর কাছে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যান ৷