তামান্না ইসলাম ঃ রাজধানী ঢাকার মধ্যেই আছে এক অপূর্ব, সুন্দর গ্রামের অস্তিত্ব।সবুজের সমারোহ,পাখির কলতানে মুখরিত,নদীবেষ্টিত এক গ্রাম।যদিও বর্তমানে গ্রাম বলা চলে না এলাকাটিকে কারণ ১০বছরের ব্যবধানে পূর্বের চিত্র পাল্টে গেছে।ক্রমাগত নগরায়ণ,আবাসন শিল্পের কারণে সবুজ এলাকাটি এখন ধূসর।বলছিলাম “বেরাইদ” এলাকার কথা।রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত বেরাইদ এলাকাটি এখন সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে তার ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে।বেরাইদ এলাকাটি পূর্বে ডুমনি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল যা পাতিরা,কায়েমসার,কায়েতপাড়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।পরবর্তীতে বেরাইদ এলাকাটি স্বতন্ত্র ইউনিয়নে রুপান্তরিত হয়।বেরাইদ তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছেঃ
১.বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বালুনদী বেরাইদ এলাকার কোল ঘেষে বয়ে চলেছে।বালু নদীর সাথে জড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
২.বেরাইদ এলাকার ঐতিহাসিক মসজিদ “ভূইয়া পাড়া মসজিদ” বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত।অনেকে একে গায়েবি মসজিদ বলে থাকেন কারণ এই মসজিদের উৎপত্তি সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না।
৩.বেরাইদ এলাকার প্রতিটি পাড়ায় মসজিদ রয়েছে।সচরাচর ঢাকা শহরের কোনো এলাকায় এত মসজিদ নেই। তাই বেরাইদকে মসজিদের গ্রাম বলা হয়।
৪.বেরাইদ এলাকা স্থানীয় এলাকা।এই এলাকার মানুষের সাথে মানুষের মানবিকতা, আন্তরিকতা অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশী। তাই মানুষের সাথে মানুষের পরিচিতিও অনেক বেশী।
৫.বেরাইদ এলাকায় এখনো কৃষিকাজ রয়েছে।কয়েক জায়গায় ফসল আবাদ হয়।
৬.এই এলাকায় রয়েছে মালদ্বীপের মতো কিছু রেস্টুরেন্ট যা,এলাকার সুনাম বৃদ্ধি করেছে।
৭.রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ,”ফোরটিস স্পোরর্টস গ্রাউড”
৮.বেরাইদ এলাকা সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ। এলাকার কিছু কিছু স্থাপত্যে সুলতানি আমলের নিদর্শন পাওয়া যায়।
৯.রোজ বৃহস্পতিবার এখানে বিশাল পরিসরে হাট বসে।
১০.বালু নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে ব্রীজ যা ঢাকার অন্যান্য জেলার সাথে ঢাকার সংযোগ ঘটাবে।
তামান্না ইসলাম
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
২য় বর্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়