• আজ ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তাপাড়ে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

| নিউজ রুম এডিটর ১২:১০ অপরাহ্ণ | জুলাই ৩০, ২০২৫ লালমনিরহাট, সারাদেশ
আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ উজানের ঢলের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি হু-হু করে বাড়ার পর বর্তমানে কিছুটা কমলেও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এখনও প্লাবিত। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বুধবার (৩০ জুলাই)বেলা ১১ টায় পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতের অতিরিক্ত পানির তোড়ে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকায় একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি বাঁধও, যার ফলে নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
পানিবন্দি এলাকার মধ্যে রয়েছে- হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম।
স্থানীয় কৃষক আমছার আলী বলেন, প্রতি বছর তিস্তার ভাঙন ও বন্যায় আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমরা চাই দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হোক।
আদিতমারীর গোবরধন গ্রামের মাহফুজ আলম  বলেন, উজানের ঢল বাড়ছে, অনেক বাড়ি পানির নিচে। ভয় হচ্ছে, এবারও বড় বন্যা হতে পারে।
সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা থেকেই পানি বাড়তে শুরু করেছে। আমার ইউনিয়নের দেড় হাজারের বেশি পরিবার এখন পানিবন্দি। সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। ধুবনী এলাকায় একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আজ সকালে পানি কিছুটা কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে কমতে পারে।
পানিতে ডুবে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা, বসতঘর ও মাছের ঘের। দুর্গত এলাকায় এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছানোর অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।