

দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের ইস্ট লন্ডনের এক পানশালার ভেতর ২১ তরুণ-তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রবিবার ইনিওবেনি টাভেরন নামের একটি নাইট ক্লাব থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ বলছে, রবিবার ভোর ৪ টার দিকে তারা মানুষদের থেকে ফোন পাওয়া শুরু করেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন তরুণী। পার্টিতে অংশ নেওয়া অধিকাংশের বয়স ১৩ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
নৈশ পার্টিতে উপস্থিত সিনথেম্বা ( নিরাপত্তার স্বার্থে আসল নাম প্রকাশ করা হলো না)) নামে একজন জানান, কয়েকজন বন্ধুসহ ভোরের দিকে ওই বারে যায় সে। ১৭ বছর বয়সী দ্বাদশ শ্রেণীর এই ছাত্রীর বক্তব্য, তাদের বলা হয়েছিল স্থানীয় সোপ অপেরা সেলিব্রেটিরা সেখানে থাকবে। এ কারণে আগ্রহ নিয়ে পার্টিতে অংশ নেয় তারা।
এই তরুণী বলেন, পানশালাটি অতিরিক্ত লোকে পরিপূর্ণ হওয়ার পর সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু পার্টিতে অংশগ্রহণকারীরা নির্দেশ না মেনে সেখানে থেকে যান। এরপর একজন নিরাপত্তাকর্মী দরজা বন্ধ করে লোকজনের দিকে কিছু একটা স্প্রে করে।
সিনথেম্বা বলেন, এরপর থেকে আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। দীর্ঘক্ষণ আমরা দম বন্ধ অবস্থায় ছিলাম। আমরা একে অন্যকে ধাক্কা দিচ্ছিলাম কিন্তু কাজ হচ্ছিল না কারণ, কিছু মানুষ মারা যাচ্ছিল।
এই তরুণী আরও বলেন, এটার ঘ্রাণ গ্যাসের মতো ছিল। তবে এটা টিয়ার গ্যাস কিংবা পেপার স্প্রে সেটা জানাতে পারেনি সে। তিনঘণ্টা যাবত সে ঘুমিয়ে ছিল জানিয়ে বলেন, যখন ঘুম থেকে জাগি পা অবশ ছিল এবং দাঁড়াতে পারছিলাম না। এরপর উপস্থিত একজনকে সে তার ফুপিকে ফোন দিতে বলে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৮ বছরের নিচে বয়সীদের শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়। তারা অ্যালকোহল কেনা কিংবা পান করতে পারে না। তবে ওই তরুণ- তরুণীরা সেখানে অ্যালকোহল পান করতে গিয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।