• আজ ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি

| নিউজ রুম এডিটর ১০:১১ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৫, ২০২৫ সারাদেশ

হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।

এদিকে জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলায় লোকজনের মধ্যে কিছুটা স্বস্থি দেখা দিলেও নদী তীরের মানুষজন এখনো ভাঙন আতংকে রয়েছেন।বজরা কালপানি এলাকার নুরনবী জানায়, স্থানীয় সচেতন মানুষ ভাঙনের দৃশ্য ফেসবুকে প্রচার করায় গত তিনদিনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারি লোকজন ঘটনাস্থলে আসায় দ্রুত জিও ব্যাগের কাজ শুরু হয়। ফলে তাৎক্ষনিক ব্যবসা নেয়ায় মানুষ খুশি হলেও ঠিকাদার পানি কমার সাথে সাথে তীররক্ষা কাজ শুরু করলে মানুষ বেশি স্বস্থি পাবে।বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরদার জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা নদী রক্ষা কাজ শুরু করার সময় নদীর দুদিকে কাজ শুরু করলেও মাঝখানে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে কাজ বন্ধ রাখে। ফলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অরক্ষিত এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এরফলে এখানে ১০টির মত পরিবার গৃহহীন হয়েছে। আবাদি জমি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। আমাদের হাতে তালিকা আসলেই আসলেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াব।এদিকে সরাসরি ভারত থেকে প্রবাহিত দুধকুমার নদী কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা যাত্রাপুর ইউনিয়নে এসে ব্রহ্মপূত্র ও গঙ্গাধর নদীর সাথে মিশে গেছে। এসব এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করায় নিম্নাঞ্চলে রোপনকৃত রোপা আমন ক্ষেত থেকে পানি সড়তে শুরু করেছে। আকাশ রৌদ্দজ্বল থাকায় জলাবদ্ধ পানি কমলে কৃষকের আর কোন আশংকা থাকবে না।

এদিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়লেও ২৪ ঘন্টায় কমতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে বন্যার উন্নতি হবে।