• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়, বললেন সিইসি

| নিউজ রুম এডিটর ৫:১৫ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২৭, ২০২২ জাতীয়, লিড নিউজ

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। তার সময়ে কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শামসুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন সিইসি। বললেন, অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় বদিউল আলম মজুমদার তার ও কমিশনের সমালোচনা করে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ‌‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দায়িত্ব ছাড়ার আগে নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডির মিট দ্যা প্রেসে তার এবং কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের জবাব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আধ ঘণ্টা কমিশনের সাফল্য তুলে ধরেন সিইসি। বলেন- অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় অনেকে তার সমালোচনা করছেন। এসময় শামসুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, প্রায় ১ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযগ আছে। কাজ না করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়া কমিশন সভায় তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের সিদ্ধান্ত আছে। তিনি বদিউল আলম মজুমদারকে এখানে নিয়োগ দিয়েছেন কীসের ভিত্তিতে, সেখানে কি কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাহলে লাখ লাখ টাকা কীভাবে দিলেন, লাখ লাখ টাকার অভিযোগ আছে।

সিইসি জানান, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। বর্তমান কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, কেউ বলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি অথবা নির্বাচন বিমুখ হয়েছে বা জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে গেছে। এটা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তি আছে? বন্দুকের মাথায় রেখে নির্বাচনের একটা অবস্থা হতে পারে কিন্তু চিরদিন সেটা থাকতে পারে না। তার জন্য দরজা খুলে দিতে হয়। আর এখন সেই দরজা খুলে গেছে। এখন রাজনৈতিক পরিমন্ডলে নির্বাচন হয়। এ নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন কিন্তু সম্ভব। এর মধ্যেই আমাদের যেতে হবে।

নির্বাচন কমিশন আইনকে স্বাগত জানান সিইসি। বললেন- দায়মুক্তি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রযোজ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কখনও দায়মুক্তির মধ্যে পড়ে না। যে কোনো দায় দায়িত্ব যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনকে পোহাতে হবে, যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা ফেইস করতে হবে।

দায়িত্ব পালনে সরকার ও রাজনৈতিক দলের চাপ ছিল না জানিয়ে সিইসি বলেন-নির্বাচনে সংঘাতমূলক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমিশনের নেই।