• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

শহীদ মিনার থেকে ফিরেই ফেসবুকে বার্তা সমন্বয়ক হাসনাতের

| নিউজ রুম এডিটর ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ | আগস্ট ৪, ২০২৪ লিড নিউজ, শিক্ষাঙ্গন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন।

এদিকে শহীদ মিনার থেকে ফিরেই ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এইমাত্র শহীদ মিনার থেকে এসেছি। সেখানে ছাত্র-জনতার যে গণবিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে প্রতিটি মানুষের এক দফার প্রতি সমর্থন প্রকাশিত হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের এক দফা বাস্তবায়ন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণ থেকে অসহযোগ আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য যে ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে পালন করবেন। আমরা ঘোষণা করতে চাই, যতদনি না পর্যন্ত আমাদের বিজয় আসবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ রোববার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয়। এই নতুন কর্মসূচি সফল করার জন্য সবার উদ্দেশে ১৫টি নির্দেশনা দেন তারা। সেইসঙ্গে এই আন্দোলনের আওতামুক্ত থাকবে কী কী, সেটিও জানানো হয়েছে।

দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব নির্দেশনার কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

জরুরি নির্দেশনাগুলো হলো:

১। কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা দেবেন না।

২। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।

৩। সব ধরনের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।

৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সংঘর্ষে আহত ইমনের মৃত্যু

৫। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না।

৬। সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।

৭। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না! কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।

৮। দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না!

৯। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।

১০। জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।

১১। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ছাড়া কোনো ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।

১২। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।

১৩। বিজিবি ও নৌবাহিনী ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।

১৪। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।

১৫। বিলাসদ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপণিবিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

তবে হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন-ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।