ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে বন্যার্তদের ত্রাণ সংগ্রহ এবং বিতরণ কার্যক্রমে নতুন পর্যায়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা। এখন থেকে গণরান্নার উপযোগী পণ্য সংগ্রহকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। টিএসসিতে চলমান থাকছে নগদ টাকা সংগ্রহের কার্যক্রমও।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের কার্যক্রমে আসে কিছুটা ভিন্নতা। দেশের বন্যাদুর্গত প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য শুকনা খাবার আর কাপড়ের শেষ চালানগুলো তোলা হয় ট্রাকে।
বাকি ত্রাণসামগ্রীও সরিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হয় টিএসসি। কারণ এসব স্থান এবার পূর্ণ করা হবে চাল, ডাল, তেল আর মসলার মতো পণ্যে। দুর্গত এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ে গণরান্নার কর্মসূচি জোরদার করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় টিএসসিতে ত্রাণ নিয়ে ছুটে আসেন অনেকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে নিজের সংগ্রহ নিয়ে আসছে শিশুরাও।
এদিন সকালে ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়করা জানান, আর নতুন করে শুকনা খাবার এবং কাপড় নেবেন না তারা। গণরান্নার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, শিশু খাদ্য, স্যানিটারি ন্যাপকিনের চাহিদার কথা জানান তারা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রকে মাথায় রেখে আপাতত গণরান্নার পরিসর বাড়ানোতে স্বেচ্ছাসেবক এবং অর্থ সাহায্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা।