ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক শিক্ষক পরিবার তাদের জায়গা দখলের পায়তারা থেকে বাঁচাতে ও নিরাপত্তার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বদলের পর যুবদল নেতা পরিচয়ে ইতোমধ্যেই তাদের বাড়িতে হামলা করে জায়গা দখলের চেষ্টা করা হয়েছে।
সম্পদ দখলের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সংবাদ সম্মেলন করছে এক শিক্ষক পরিবার। ছবি: সময় সংবাদ
সম্পদ দখলের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সংবাদ সম্মেলন করছে এক শিক্ষক পরিবার। ছবি: সময় সংবাদ
উজ্জল চক্রবর্তী
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আখাউড়া পৌর এলাকার মালদারপাড়ার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ওই শিক্ষক পরিবার এ বিষয়ে প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। নিজেদের পাশাপাশি ওই জায়গায় থাকা ভাড়াটিয়ার নিরাপত্তা দিতেও তারা অনুরোধ করেন।
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক আব্দুল আউয়াল ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীনা বেগমের ছেলে প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম আসিফ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এ সময় তিনি জানান, চাকরি ও ব্যবসায়িক সূত্রে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বসত বাড়িতে তার মা বসবাস করেন। বসত বাড়ির উল্টোদিকেই আরেকটি জায়গার ১.৩১ শতাংশ নিয়ে প্রতিবেশী শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধ চলমান। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তাদেরকে আওয়ামী লীগের লোক আখ্যায়িত করে নানাভাবে হুমকি দেয়া শুরু করেন শিমুল। কয়েকদিন আগে বিরোধপূর্ণ ওই জায়গার একটি বাথরুম ও বাড়িতে ঢোকার গেট শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ভেঙে ফেলা হয়। একইসঙ্গে বাড়িটি দখলের চেষ্টা করা হয়। শিমুল নিজেকে যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।
আসিফ আরও অভিযোগ করেন, বিষয়টি তিনি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু শিমুল তার লোকজন শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় না। তারা আমার জমি জোর করে দখল করে নিয়ে যাবে অথবা আমাকে মেরে ফেলবে। সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ কাউকেই তারা মানতে চাচ্ছেন না। বিএনপি নেতাদেরকে তারা পাত্তা দিচ্ছেন না। এ সময় তিনি বিষয়টি সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘বিএনপি অনেক বড় সংগঠন। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী-সমর্থক আছে। তবে শিমুল ভূঁইয়া কোনও পদে আছে কিনা আমি জানি না। থাকলেও কারও জায়গা সম্পত্তি দখল করলে সেটা আমরা সমর্থন করি না।’
অভিযুক্ত শিমুল ভূঁইয়া অবশ্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএস মূলে এই জায়গার মালিকানা আমাদের। এটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। আওয়ামী সরকারের সময় জায়গাটি দখলে নেয়া হয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে মামলা চলমান আছে। তাদেরকে হুমকি দেয়ার তথ্য ঠিক নয়।’
শিমুলের বড় ভাই পলাশ ভূঁইয়া বলেন, ‘এ জায়গার মালিকানার সব ধরনের কাগজ আমাদের আছে। কিন্তু কয়েকবছর আগে আসিফের বাবা কেনার সময় এ জায়গাটি দখল করে নেয়। আসিফকে একাধিকবার বলা হয়েছে মীমাংসার জন্য। সে কথা দিয়েও আসে না।’