• আজ ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

দেশে নতুন ভাইরাস শনাক্ত: লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়

| নিউজ রুম এডিটর ৪:১৭ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১২, ২০২৫ জাতীয়

বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস (রেসপিরেটরি এন্টারিক অরফান ভাইরাস) শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। তবে দেশে এই প্রথম পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি।

রিওভাইরাস এমন একটি ভাইরাস, যা সাধারণত প্রাণী বা মানুষের মধ্যে অন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। শীতকালে রিওভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস; যা শিশুদের ডায়রিয়া বা জ্বরের সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩-৬ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এ ভাইরাস তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ ও সাধারণত সহজেই চিকিৎসা করা যায়।

যেসব লক্ষণে চেনা যাবে রিওভাইরাস

ডায়রিয়া: পানিজাতীয় পাতলা মল, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

বমি: বমি করা, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।

পেটে ব্যথা: অন্ত্রের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা।

শক্তি কমে যাওয়া: শরীর দুর্বল অনুভূতি বা ক্লান্তি।

কতটা মারাত্মক?

রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়। তবে এটি গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি জীবনহানির কারণ হতে পারে। তবে এটি সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ভালোভাবে নিরাময়যোগ্য।

এ ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।

রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) আছে, যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও খাবারের সুরক্ষা এ ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

প্রতিরোধের উপায় কী?

রিওভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) আছে, যা শিশুদের জন্য দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার ও খাবারের সুরক্ষা এ ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

সূত্র: মেডসক্যাপ