সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৫৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক, রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সিরাজদিখান থানার এসআই মো. হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক দূর্ণীতিগ্রস্থ সাংসদ মহিউদ্দিন সরদার, তার ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আনিসুর রহমান রিয়াদ, উপজেলা যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু,সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মৃধা, রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আশরাফ আলী, বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, লতন্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ ফজলুল হক, ইছাপুরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার, শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক, সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিয়ান আব্দুল্লাহ অনিক ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ রয়েল সহ ২৫ জনকে এজাহার নামীয় আসামীসহ আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার ও জৈনসার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম ঢালীকে শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্বলিত বেশ কয়েকটি বই ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ১০টি পোস্টারসহ আটক করে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। পরে তাদের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।

সিরাজদিখান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান,গত ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদারের বাড়ীর ভাড়াটিয়াদের উঠানে নেতাকর্মীদের সমবেত করে গোপন বৈঠক করে ছাত্রলীগ। সেখানে রাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ নাশকতার চেষ্টা ও পরিকল্পনা করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ছুটে যায়। পরবর্তীতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সাংসদ মহিউদ্দিন আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় মামলা করা হয়। তিনি আরো জানান, ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যু বার্ষীকি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পরে এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।