

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ঢাকা।।আব্দুল্লাহপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দখল করে বিশাল মাছের আড়ত।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোররাতে মাছ আসে এই আড়তে। ভোরবেলা চলে পাইকারি বিক্রি। তবে একটু বেলা হলে খুচরা বিক্রিও হয় এই আড়তে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাড়ে তিন শতাধিক দোকান রয়েছে এই আড়তটিতে। যা পরিচালিত হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে। আর এই সমিতির নেতৃত্ব দীর্ঘসময় ধরে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা কাজীখোকা । দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়নি এই সমিতির। ফলশ্রুতিতে আড়তটির নেতৃত্বও রয়েছে তাদের হাতে। এখনো সেখানে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন স্বৈরাচারের দোসররা।
গত ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় এসব আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে মাছ বাজারটি।বিষয় গুলো অবাক কারার মতো হলেও তাই ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা শুনেছি এ বাজারটিতে নাকি কিছু ব্যক্তির জমি আছে। এদের মধ্যে টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতা কাজী খোকা ও পশ্চিম থানা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীরাম চন্দ্র দাস (রাম বাবু) কিছু জমি নিজেদের দাবি করে আসছিলেন। বিষয়টি কতটা সত্যতা আমার জানা নেই। তবে ৫ আগষ্টের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান হয় তখন কাউকে সামনে আসতে দেখি নায়।
ব্যবসায়ী আরো জানান, ৫ আগস্টের পর বাজার থেকে পালিয়ে যায় আওয়ামী গীগের এ চক্রটি। এর কিছুদিন না যেতেই পুনরায় তারা আবার আসতে শুরু করে এবং বাজারে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালায়। ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তরা থেকে গ্রেফতার হওয়া হত্যা মামলার আসামি সিটি করপোরেশনের ৫০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরের ছোট ভাই ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের আস্থাভাজন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী খোকান নেতেৃত্বে বাজারটিতে পুনরায় চাঁদা তোলা শুরু হয়েছে। চাঁদা উঠানোর দায়িত্ব দেয় সাবেক কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া ও মৎস্যজীবী লীগ নেতা শ্রীরাম চন্দ্র দাস (রাম বাবু) কমিটির কোষাধক্ষ্য নবী আলমের আস্থাভাজন আনোয়ার ফাহিমকে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে চাঁদা উঠনোর দায়িত্বে থাকা আনোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আপনি আমার সাথে দেখা কইরেন।খোকা ভাইকে একটা ফোন দেন।
জানা যায়, কিছু বছর আগেও ঠিকমতো তিন বেলা খেতে পারতেন না এই আনোয়ার। আওয়ামী লীগ শাসনামলে এই আড়তে চাঁদার টাকা তুলে তিনি এখন কোটিপতি।
এ বিষয়ে কাজী খোকার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন।এখানে আমার নিজের জমি আছে। এসব কাগজপত্র সেনা ক্যাম্প ও থানায় জমা দিয়েছি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে আপনার জমি কিভাবে অভিযান করে ভেঙে দিলো এই প্রশ্ন করতেই তিনি ফোন কেটে দেন।এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন,কিছুদিন পূর্বে অভিযান হয়েছে।আমরা শুনেছি বিভিন্ন চাঁদাবাজি হচ্ছে।আমরা যেকোনো সময় অভিযান করবো