
সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃমুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বেলা অনুমান ১১টার দিকে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের চন্ডবর্দী গ্রামস্থ
লতব্দী ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শরিফ হোসেন মাহমুদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা জানা যায়, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংসপুরা মাহমুদ বাড়ী ও দেওয়ান বাড়ীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিলো। পূর্ব বিরোধের জেরে মাহমুদ বাড়ীর সন্তান ইউপি সদস্য শরিফ হোসেন মাহমুদের বাড়ীতে আল আমিন,সাগর, রনি, সানি,আরসব আলী, এহেন আলী, রকি, বাবু,কালাই দেওয়ান, হোসেন দেওয়ান, জালাল দেওয়ান ও আল ইসলাম কাজীসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ২২ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ ১২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। এ সময় ইউপি সদস্যের স্ত্রী রহিমা বেগম ও তার বড় বোন মোসাঃ মনোয়ারা বেগমকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
ভুক্তভোগী লতব্দী ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শরিফ হোসেন মাহমুদ বলেন, মাহমুদ বাড়ী ও দেওয়ান বাড়ীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। তবে তিনি নিজে কখনো মারামারি বা সংঘর্ষে জড়াননি। তার দাবি, কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও তিনি এতে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তবুও পূর্ব বিরোধের জেরে দেওয়ান বাড়ীর আল আমিন,সাগর, রনি, সানি,আরসব আলী, এহেন আলী, রকি, বাবুস,কালাই দেওয়ান, হোসেন দেওয়ান, জালাল দেওয়ান ও আল ইসলাম কাজীসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তিনি আরও বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ ১২ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্নালংকার লুটসহ এ ঘটনায তার প্রায় ৭০-৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি সিরাজদিখান থানার ওসিকে তিনবার ফোন করলেও কোনো সহায়তা পাননি। বেলা ১১ টায় তার বাড়ীতে হামলার এ ঘটনা ঘটলেও বিকাল পর্যন্ত থানার কোনো পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও প্রতিপক্ষ পুনরায় হামলা চালাতে পারে মর্মে ভুক্তভোগী পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।।
হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের যথাযথ বিচার দাবী করেন ইউপি সদস্য শরিফ হোসেন মাহমুদ।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হান্নান জানান, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।






















