

পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে তা না পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুর সাহাপাড়া এলাকায় কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্কুলের সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
‘ঘুষ’ না পেয়ে রাস্তা বন্ধ করে স্কুলের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সময় সংবাদ
‘ঘুষ’ না পেয়ে রাস্তা বন্ধ করে স্কুলের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সময় সংবাদ
মো. জাহাঙ্গীর আলম
খোসালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেমা খাতুনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এনিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হরিপুর সাহাপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মৃত সাইদুর রহমানের মেয়ে মোসা. শহর বানু।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন আগে খোসালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে থাকা শহরবানুর দরজা ঘেঁষে সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এসময় শহরবানুর পরিবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়া ও ঘরবন্দি হওয়ার বিষয়টি জানালে রাস্তা ছেড়ে কাজের নির্দেশনা দেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সহর বানুর কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে তা না পেয়ে আবারও বাড়ি ঘিরে নির্মাণকাজ শুরু করে প্রধান শিক্ষক মোসলেমা খাতুন।
মোসা. শহরবানু বেগম বলেন, ‘আমি স্কুলে গত ১২ বছর ধরে আয়ার কাজ করি। কিন্তু আমার বাড়ির দরজা ঘিরেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেক অনুরোধ করলেও শোনেনি মোসলেমা ম্যাডাম। বরং উল্টো এর বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে না পারায় এখন ঘরের দরজা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর করতে চাই। প্রশাসনের কাছে দফায় দফায় গিয়েও ম্যাডাম তা মানছে না। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন সহরবানুর পরিবারের সদস্যরা।’
এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি খোসালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেমা খাতুন।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কাজ করছে এলজিইডি, তাই প্রধান শিক্ষকের টাকা চাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটার কথা নয়। তবুও বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।