
মানিক হোসেন, ইবি:শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে ঘুম ও পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হলটির শিক্ষার্থীরা। আবাসিক এলাকায় সকল প্রকার শব্দ দূষণ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নির্দিষ্ট একটি নীতিমালা চান আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ সাদ্দাম হোসেন হলের আশেপাশে বিশেষ করে ক্যাফেটেরিয়ার পাশ, কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে, আবাসিক হলের ছাদে এবং হলের সামনের ক্রিকেট মাঠে উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দিবস বা স্নাতক সম্পন্ন উপলক্ষ্যে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণকালে বিভিন্ন বিভাগের চলমান ক্লাস ও পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষার্থীরা সমস্যার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণের ফলে হলের পড়ালেখার সার্বিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দিনের বেলার মতো মধ্যরাত পর্যন্ত আবার কখনো কখনো সারারাত লাগাতার উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্স এবং চিল্লাচিল্লি করার কারণে লেখাপড়া ও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনাসহ দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
সাদ্দাম হোসেন হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের হলের আশেপাশে সারা দিনরাত যে পরিমাণ শব্দদূষণ হয় তাতে পড়াশোনা তো দূরের কথা সুস্থভাবে বেঁচে থাকায় কঠিন। হলের পাশে সারা দিনরাত উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাজানের কারণে আমরা ঠিকমতো ঘুমাতেও পারিনা। যার কারণে সারাদিনের ক্লাস-পরীক্ষা, পড়াশোনা সবই মাটি হয়ে যাচ্ছে। আমরা চায় প্রশাসন এর একটি সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করুক।
আরেক শিক্ষার্থী শাওন খান বলেন, প্রশাসনের নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় শিক্ষার্থীরা যার যার ইচ্ছামতো আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন আয়োজন করে হলের শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করছে। সাদ্দাম হোসেন হলের আশেপাশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে অতিমাত্রায় সাউন্ডবক্স বাজানোর কারনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ঘুম সহ স্বাভাবিক জীবনযাপনে মারাত্মকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীরা চাইলেই যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতেই পারে, তবে সেটা অন্যদেরকে বিরক্ত করে নয়। শিক্ষার্থীদের এসব আয়োজনের জন্য প্রশাসনের একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা করা উচিত।
এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, সাদ্দাম হোসেন হলের আশেপাশের শব্দ দূষণের বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি। আগামীকাল আমরা মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করবো। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সকলের মতামতে একটা সিদ্ধান্ত নিব।
উল্লেখ্য, রাতভর উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাজানোর প্রতিবাদে ফেসবুক পোস্ট করায় গতকাল বিকালে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।






















