• আজ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা টিকা নেয়নি করোনায় তাদেরই মৃত্যু হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২৫, ২০২২ জাতীয়, লিড নিউজ

করোনাভাইরাসে যারা টিকা নেয়নি তাদের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আরও বলেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই টিকা নেয়নি।

মঙ্গলবার বিকেলে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলো শয্যার ২৫ শতাংশ রোগী ভর্তি রয়েছে। ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজারের কিছু বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০০ জনের মতো।

দেশে যে হারে সংক্রমণ ধরা পড়ছে, তাতে অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালে শয্যার চাহিদা আরও অনেক বেড়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

সরকারের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ বাড়লে সেই হারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে না উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এটার কারণ হচ্ছে টিকা। অনেক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে হসপিটালাইজেশন কম হবে। আমাদের টার্গেটেড আরও তিন কোটি লোক টিকা নেওয়ার বাকি আছে। ট্রান্সপোর্ট, ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন সেক্টরে বাকি আছে। তারা এগিয়ে আসেনি নেয়ার জন্য। তাদের কিভাবে টিকা দেয়া যায় সে বিষয়ে আমরা বৈঠক করেছি।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, বৈশ্বিক ও বেপরোয়া চলাফেরার কারণে সংক্রমণ বেড়েছে, ৭০-৮০ ভাগ ওমিক্রনে আক্রান্ত, যা আশঙ্কাজনক।

এসময় দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বাসার বাইরে মানুষ সেভাবে মাস্ক পরে না। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ওমিক্রন মাইল্ড হওয়ায় আমরা যদি ইচ্ছামতো চলাফেরা করি তাহলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। এখন আমাদের দেশ অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সমস্ত সূচকই ভালো আছে। আমরা যদি ফেল করি তাহলে সূচকগুলো আর ভালো থাকবে না।

এম এ মবিন খানের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের পরিচালক (শিক্ষা) এ এইচএম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদউদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।