আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: ১৬৩ ঘন্টার পর শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন। ২৬ জানুয়ারী বুধবার সকাল ১০ টা ২১ মিনিটে অনশন ভাঙান এ শিক্ষক।
দাবি আদায়ে সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরটা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক সপ্তাহ অনশন করার পর জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী সাবেক অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের উপস্থিতিতে অনশন ভাঙেন। ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে এসে অনশন ভাঙেন অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরাও।
ঢাকা থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে যান জনপ্রিয় লেখক জাফর ইকবাল। ওই সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক।
আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় জাফর ইকবাল জানান, উচ্চ পর্যায়ে তার আলোচনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। এ কারণেই তিনি ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছেন।
অনশন না ভাঙিয়ে ফিরে যাবেন না বলেও জানান জনপ্রিয় এ লেখক। তার অনুরোধে অবশেষে অনড় অবস্থান থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে রওনা দিয়ে ভোরের আগে ক্যাম্পাসে পৌঁছান বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক দুই অধ্যাপক।
ডপ্রয় শিক্ষককে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তার কাছে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও করেন।জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা কেন তোমাদের জীবন অপচয় করবা? তোমাদের বাঁচতে হবে। তোমরা ইতোমধ্যেই বিজয়ী হয়ে গেছো।গারা দেশের মানুষ তোমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছো। জীবন অনেক মূল্যবান। তুচ্ছ বিষয়ে জীবন অপচয় করা যাবে না।
শিক্ষার্থীদের জাফর ইকবাল জানান, নিশ্চিত হয়েই এসেছেন যে তাদের দাবি পূরণ হবে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবে।
আন্দোলনরতদের একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সমাবেত হয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেন। সে সময় ছাত্রদের একটি প্রতিনিধি দল অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান। কারও কথা না রাখলে অবশেষে শিক্ষার্থীরা প্রিয় শিক্ষক জাফর ইকবালের কথায় অনশন ভাঙতে রাজিহন।