• আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নে কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর

| নিউজ রুম এডিটর ৮:২০ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২ সারাদেশ, সিলেট

ষ্টাফ রিপোর্ট: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের চারটি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণণার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আফতাব উদ্দিন।

তিনি ভোট গ্রহনে জাল ভোট প্রদান,ভোট গণণাকালে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে পুনরায় ভোট গ্রণণার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবরে অভিযোগ দায়ের ও উচ্চ আদালতের দারস্থ্য হবেন বলেও জানান।

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট দেয়া লিখিত অভিযোগ সুত্রে আফতাব উদ্দিন উল্ল্য্রেখ করেন, সারা দেশের ন্যায় সপ্তমধাপে জেলার তাহিরপুর উপজেলায় ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাত ইউনিয়নের ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়।

৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার অন্যা ইউনিয়নের ন্যায় ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ১২টি কেন্দ্রে ভোট ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। ওই দিন দুপুরের পর হতে কয়েকটি কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতিকের প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের চারজন এজেন্ট, তাদের অনুচর, কেন্দ্রের ভেতরে- বাহিরে থাকা পরিবারের সদস্য,সমর্থকরা প্রভাব বিস্তার করে সূকৌশলে একের পর এক জাল ভোট প্রদান করাতে থাকেন যা বার বার আপক্তি জানানোরও পরও কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারগণ কর্ণপাত করেননি।

এভাবে ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া,ইউনূছপুর,লামাশ্রম ও প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থীর বাড়ির নিকটবর্তী ভোট কেন্দ্র বিন্নাকুলিতে পেশীশক্তির প্রভাব খাঁটিয়ে জাল ভোট প্রদানের পরও পরাজয় আঁচ করতে পেরে ওই চারটি কেন্দ্রে ভোট গণণাকালে আমার আনারস প্রতিকের এজেন্টদের ভয় ভীতি দেখিয়ে ভোট গণণা শুরুর পরপরই কেন্দ্রগুলো থেকে বের করে দেয়া হয়।,
এরপর ঘোড়া প্রতিকের ব্যালটের সাথে নৌকা ও আনারস প্রতিকের প্রাপ্ত ভোটকে একত্রিত করে সূক্ষ কারচুপির জাল বিস্তার করিয়ে ফলাফাল ঘোষণা করানো হয়।,
রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে সূক্ষ কারচুপির মুখে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সুজাত মিয়া ৪৫৬ ভোট পেয়েছেন দেখিয়ে জামানত হারা প্রার্থী ঘোষণা করানো হয়।

আফতাব উদ্দিন আরো বলেন, শুধু এখানেই শেষ নয়, ভোট গণণা শুরুর পর যখন ৮টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট ঘোড়া প্রতিকের চেয়ে আমার আনারস প্রতীকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২০২৮ ভোটে এগিয়ে ছিল তখনই অপর চারটি কেন্দ্রে মোল্লাপাড়া, ইউনুছপুর, লামাশ্রম, ও প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থীর নিকটবর্তী ভোট কেন্দ্রে বিন্নাকুলি কেন্দ্রে ভোট গণণায় জাল জালিয়াতি কারচুপির মাধ্যমে আনারস প্রতিকের আট কেন্দ্রে ২০২৮ ভোটে এগিয়ে থাকার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে অপর চারটি কেন্দ্রে ৩৪৭ ভোট ঘোড়া প্রতিকের বিপরীতে বেশী দেখিয়ে ১১ হাজার ৫০৭ ভোট পেয়ে প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থী নিজাম উদ্দিন নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করান।

অপরদিকে আমার আনারস প্রতিকের প্রাপ্ত ভোট যেখানে আট কেন্দ্রে ২০২৮ ভোট এগিয়ে ছিল সেখানে হঠাৎ করে ভোট গণণার এক পর্যায়ে চারটি কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান করানো সহ আমার আনারস, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের ভোটকে ঘোড়া প্রতিকের ব্যালটের সাথে একত্রিত করে সুক্ষ্য কারচুপির জাল বিস্তার করিয়ে আমার আনারস প্রতিকের বিপরীতে ১২টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ১৬০ ভোট প্রাপ্তি দেখিয়ে ঘোড়া প্রতিকে ৩৪৭ ভোট প্রাপ্তি বেশী দেখিয়ে নিশ্চিত জনগণের দেয়া ভোটে আমার বিজয় কারচুপির মাধ্যমে ছিনিয়ে নেয়া হয়।।।