যিনি অভিনেতা হিসেবে এক সময়ে ইউক্রেনবাসীকে আনন্দ দিয়েছেন, দুঃখের সময়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, সেই জেলেনস্কির শাসনেই দেশবাসী চোখের জলে ভাসছেন।
রুশ হানায় কাঁপছে গোটা দেশ। নির্ভীক ভাবে দেশের জনগনকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের শাসক ভোলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের জীবনের শুরুটা রাজনীতি দিয়ে হয়নি। শুরুতে জেলেনস্কি ছিলেন রূপোলি পর্দার নায়ক। অভিনেতা হিসেবে বেশ কিছু ছবি এবং টিভি সিরিজে কাজ করেছেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
মাত্র ১৭ বছর হিসেবে কমেডিয়ান হিসেবে অভিনয়ে হাতে খড়ি হয় ভোলোদিমির জেলেনস্কির। তার পর রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় ভাষার একাধিক টিভি শো-তে অংশগ্রহণ করেন। বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তাও। টিভিতে অভিনয়ের পাশাপাশি সুযোগ আসে ছবিতে কাজ করার। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় জেলেনস্কির প্রথম ছবি ‘লাভ ইন দ্য বিগ সিটি’। এর পর ‘অফিস রোম্যান্স আওয়ার টাইম’, ‘লাভ ইন ভেগাস’ সহ মোট আটটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর শেষ ছবি ২০১৮ সালের ‘আই’, ‘ইউ’, ‘হি’, ‘শি’।
ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে ২০১৫ সালে ‘সারভেন্ট অফ দ্য পিওপল’ এবং ২০১৭ সালে ‘স্ভ্যাতি’ নামের দু’টি ধারাবাসিকেও কাজ করেন। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং অভিনয় জগৎকে বিদায় জানান।
ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর। যে এক সময়ে সমগ্র ইউক্রেনবাসীকে আনন্দ দিয়েছেন, দুঃখের সময়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, সেই জেলেনস্কির অধীনেই দেশবাসীর প্রাণরক্ষার তাগিদে চোখের জল ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না।