এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। যুদ্ধে অবিরাম বোমাবর্ষণে ইউক্রেনের শহরগুলো নরকে পরিণত হয়েছে। তার ওপর রাশিয়ান সেনাদের দখলকৃত শহরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের ওপর অসংখ্য যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সৈন্যরা বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করে হত্যা ও ধর্ষণ করছে অভিযোগ উঠেছে। বেসবেল্টে এবং অট্টালিকায় ডুকে পুরুষদের হত্যা নারীদের ধর্ষণ করে নাগরিকদের মাঝে আতঙ্ক তৈরির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে দাবি ইউক্রেনর। বিষয়টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জর্মান নারীদের প্রতি রেড আর্মিদের বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটরের জেনারেল, ইরিনা ভেনেডিক্টোভা বৃহস্পতিবার জানান, পুতিনের সৈন্যদের দ্বারা যৌন নিপীড়ন শিকারের ঘটনাগুলো তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পূর্ব কিয়েভের ব্রোভারিতে দুই রাশিয়ান মাতাল সৈন্য একটি ভবনে হামলা চালায়। ভবনে থাকা তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করে।
সন্তানদের অস্ত্রের মুখে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সেই সদ্য বিধবা মাকে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বেঁচে পালিয়ে এসে তদন্তকারীদের প্রমাণ দেয়। দুই সৈন্যের একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা জানা যায়নি। ভেনেডিক্টোভা হুঁশিয়ার করে বলেন, প্রত্যেক ভিলেনদের খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দাঁড় করানো হবে। বোমাবর্ষণে ধ্বংস প্রায় ইরপিন শহর থেকে পালিয়া আসে আনাস্তানিয়া তারান (৩০)। রুশ সৈন্যদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন তিনিও। বলেন, সৈন্যরা শহরকে নরকে পরিণত করছে।
অসংখ্য সৈন্য শহরের কেন্দ্র অবস্থান করে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের বাসায় আক্রমণ করে লাথি মেরে বের করে দিচ্ছে, গুলি করছে। বেসমেন্টে (অট্টালিকার ভূগর্ভস্থ অংশ) লুকিয়ে থাকা লোকদের বের করে গুলি করছে, ধর্ষণ করছে। একই অভিযোগ করেছেন কিয়েভের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুবেলাও বলেছেন রুশ সৈন্যরা দখলকৃত অঞ্চলে অসংখ্য যৌন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।