মোঃতারিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ঃ গরমে আত্নতৃপ্তি এনে দেয় এক ফালি রসালো তরমুজ। ফলটি গ্রীষ্মের ফল হিসেবেও সুপরিচিত। তবে মেহেরপুরের বাজারে চৈত্র মাসে এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কেজি দরে অস্বাভাবিক ভাবে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।
দেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় তরমুজ চাষ হয় ব্যাপকভাবে। এরই মধ্যে ঐ সব অঞ্চল থেকে তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে তরমুজ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়াও সাধারণত চৈত্র মাসে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভরপুর থাকে, আর তখন দামও হবে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে জীবন নগর সর্বত্র কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা দরে। মাঝারি আকারের একটি তরমুজ কিনতে হচ্ছে ৩’শ-৪’শ টাকায়। যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের পক্ষে ক্রয় করে খাওয়া খুব কস্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সদরের বিভিন্ন বাজারে, আন্দুলবাড়িয়া এবং রায়পুর ও উথলি বাজারে সহ সবখানেই কেজি দরে বাজারে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ পাইকারি কৃষকদের কাছ থেকে শত হিসেবে ক্রয় করে আনছে বিক্রেতারা।
জীবন নগর বাজার বাসষ্টার্ন্ডে তরমুজ ক্রেতা তরিকুল হক বলেন, এবছরের নতুন ফল তরমুজ দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না, তাই কিনলাম। কিন্তু দাম অত্যাধিক পরিমাণে বেশি।
তবে প্রশাসন এবং বাজার মনিটরিং এর কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এক্ষেত্রে সাধারণ ক্রেতারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন।