

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেঁচ নেওয়ার জন্য কার্ডের টাকা ছাড়াও অতিরিক্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অপারেটর আক্তারুজ্জামান আক্তারুলের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার ভূল্লী বড় বালিয়া ইউনিয়নে গভীর নলকূপের আওতায় থাকা প্রায় ৫০ জন কৃষক সেঁচ নিতে গিয়ে এমন ভোগান্তিতে পড়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে ১০৮ নং গভীর নলকূপের দায়িত্বে থাকা অপারেটর আক্তারুজ্জামান গত ১০ বছর থেকে ওই এলাকার কৃষকের কাছে ডিপটিউবলের ভাড়া নিয়ে আসছে। প্রতি সেঁচ মৌসুমে একর প্রতি ২৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হয় কৃষককে। ওই গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় ৬০ একর আবাদি জমি রয়েছে। বোরো বা আমন মৌসুমে কৃষক একর প্রতি ২৪০০ টাকা দিতে না পারলে তাকে সেঁচ সুবিধা দেওয়া হয় না। এ বছর ওই এলাকার ৫০ জন কৃষক একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে বরেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে অভিযোগ করলে অপারেটর গভীর নলকূপে তালা মেরে দেয় এবং কৃষকে পানি না দেওয়ার হুমকী দেয়।
ভুক্তোভুগী কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, আমরা কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিয়ে ডিপটিউবওয়েল থেকে পানি নেই। কার্ডে টাকা দিতে হয় আবার অতিরিক্ত ভাড়াও দিতে হয়। এই ডিপটিউবওয়েল এর মালিক দাবি করে আক্তারুজ্জামান। বিঘা প্রতি ১২০০ টাকা না দিলে জমিতে তিনি সেচ দিবেন না। বিপ্লব নামে এক কৃষক বলেন, দশ বছর ধরে আমরা এই ডিপটিউবওয়েল এর আওতায় সেচ নিয়ে আসছি। চাপে পরে আমরা টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা নিজস্ব কার্ডে টাকা ঢুকানোর পরেও বিঘা প্রতি ১২০০ টাকা করে অপারেটরকে ভাড়া দেই। আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, অপারেটরকে টাকা দিলে সে পানি দিবে না হলে পানি নিতে দিবে না। গত ১ মাস যাবৎ আমি পানি নিতে পারি নাই। কেন পানি দিবে না এমনটা জাইতে চাইলে উনি বলেন এই ডিপটিউবলের মালিক উনি নিজেই। জোর করে পানি নিতে চাইলে মামলা করেব সবার নামে। পানি দিতে না পারায় আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই জন্য আমরা কৃষকরা সবাই মিলে বরেন্দ্র অফিসে একটি অভিযোগ করেছি। আমরা এটির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গভীর নলকূপের অপারেটর আক্তারুজ্জামান বলেন, ডিপটিউবওয়েল করতে গিয়ে বরেন্দ্রকে আমি কয়েক ধাপে টাকা দিয়েছি। সেই টাকা তোলার জন্য এবং আমি আমার খরচের জন্য আংশিক কিছু টাকা নেই কৃষকের কাছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের ঠাকুরগাঁও নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ১০৮ নাম্বার ডিপটিউবওয়েল (গভীর নলকূপ) এর অপারেটরের বিরুদ্ধে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।