

আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা ও তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুটির মাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরকীয়া প্রেমিক কবির খান পলাতক রয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আটক মা লিপি আক্তার (৩০) কাউনিয়া থানাধীন শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী।
শনিবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার।
এ সময় তিনি জানান, বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানাধীন শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী লিপি আক্তারের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ায় একই ইউনিয়নের রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কবির খান। ঘটনার দিন ২৭ মে দুপুরে লিপি আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খানের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তার মেয়ে তন্নি আক্তার (১৩) বিষয়টি দেখে ফেলে। ওই সময় মেয়ে তন্নি আক্তার এ ঘটনা তার বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বললে ঘাতক মা লিপি আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খান মিলে মেয়ে তন্নিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
হত্যা নিশ্চিত করে তন্নিকে গলায় দড়ি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর তন্নি আত্মহত্যা করেছে বলে বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে জানায় মা লিপি আক্তার।
এ ঘটনায় ২৭ মে কাউনিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। পরে মামলার তদন্তে গিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক ছগির হোসেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন নিহত তন্নির বাবা সোহরাব হাওলাদার। আটক লিপি আক্তারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম শামীম ও ওসি আবদুর রহমান মুকুল।