• আজ ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম: হাসনাত | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি |

এডিসি লাবণী ও কনস্টেবল মাহমুদুলের আত্মহত্যা, যা বলছে পরিবার

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৩৭ অপরাহ্ণ | জুলাই ২২, ২০২২ আইন ও আদালত

মাগুরায় একদিনে দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তাদের আত্মহত্যায় কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেই প্রশ্ন এখন সবার মনে। যদিও এডিসির পরিবার বলছে, ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল এর জেরেই আত্মহত্যা করেছে লাবণী। এদিকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের পরিবার দাবি করছে, লাবণী ও মাহমুদুলের সম্পর্ক ছিল ভাই বোনের মতো। মাহমুদুল লাবণীকে বড় বোনের মতো দেখতেন আর লাবণীও তাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন।

এরপরও কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে তারা কেন আত্মহত্যা করলেন এমন প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে মামাবাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি লাবণী আক্তার। এর কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান নিজের কাছে থাকা শর্টগানের গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মাহমুদুল হাসান খুলনায় লাবণীর সাবেক দেহরক্ষী ছিলেন। মাস দেড়েক আগে মাহমুদুল খুলনা থেকে বদলি হয়ে মাগুরায় যান। আর গত ১৭ জুলাই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যান লাবণী।

লাবনীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আজম মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, লাবণী অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও হাসিখুশি মনের মানুষ ছিল। তার মতো মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে, এটা তিনি ভাবতেও পারছেন না।

তবে স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তারেক আবদুল্লার সঙ্গে লাবণীর সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লাবণী ও স্বামী আব্দুল্লার মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া হত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। আর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জেরেই লাবণী আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া লাবণী ও সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে মাহমুদুল হাসানে বাবা এজাজুল হক খান চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত পুলিশের কনস্টেবল। তিনি বলেন, মাহমুদুল খুব হাসিখুশি ও শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। ঘটনার আগের রাতেও মাহমুদুলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কনস্টেবলের চাকরি নিয়ে সে খুশি ছিল না। এ কারণে চাকরিতে অনেক কষ্ট বলে সে তার মাকে বলত। তার ইচ্ছা ছিল পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর পদে চাকরি করার। সেজন্য চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পাংশা কলেজে অ্যাকাউন্টিংয়ে অনার্সে ভর্তি হয়েছিল। সে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। মাহমুদুল কেন আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

মাহমুদুল হাসানের বড় বোন সুমাইরা খাতুন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা লাবণীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভাইবোনের মতো সম্পর্ক ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আমার ভাইকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কখনো কোনোদিন কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। লাবণীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের খারাপ কোনো সম্পর্ক ছিল না।

মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দুই আত্মহত্যার ঘটনায় মাগুরা থানা ও শ্রীপুর থানায় দুটি ইউডি মামলা হয়েছে। পুলিশ দুটি আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে।