• আজ ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  | শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি: নাহিদ ইসলাম | কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ | প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের মেয়াদে বিএনপি একমত- সালাহউদ্দিন আহমেদ | মধ্যপ্রাচ্যে চার দেশের আকাশসীমা বন্ধ, ঢাকা থেকে সব ফ্লাইট বাতিল  |

এডিসি লাবণী ও কনস্টেবল মাহমুদুলের আত্মহত্যা, যা বলছে পরিবার

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৩৭ অপরাহ্ণ | জুলাই ২২, ২০২২ আইন ও আদালত

মাগুরায় একদিনে দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তাদের আত্মহত্যায় কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেই প্রশ্ন এখন সবার মনে। যদিও এডিসির পরিবার বলছে, ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল এর জেরেই আত্মহত্যা করেছে লাবণী। এদিকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের পরিবার দাবি করছে, লাবণী ও মাহমুদুলের সম্পর্ক ছিল ভাই বোনের মতো। মাহমুদুল লাবণীকে বড় বোনের মতো দেখতেন আর লাবণীও তাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন।

এরপরও কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে তারা কেন আত্মহত্যা করলেন এমন প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে মামাবাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি লাবণী আক্তার। এর কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান নিজের কাছে থাকা শর্টগানের গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মাহমুদুল হাসান খুলনায় লাবণীর সাবেক দেহরক্ষী ছিলেন। মাস দেড়েক আগে মাহমুদুল খুলনা থেকে বদলি হয়ে মাগুরায় যান। আর গত ১৭ জুলাই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যান লাবণী।

লাবনীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আজম মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, লাবণী অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও হাসিখুশি মনের মানুষ ছিল। তার মতো মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে, এটা তিনি ভাবতেও পারছেন না।

তবে স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তারেক আবদুল্লার সঙ্গে লাবণীর সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লাবণী ও স্বামী আব্দুল্লার মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া হত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। আর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জেরেই লাবণী আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া লাবণী ও সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে মাহমুদুল হাসানে বাবা এজাজুল হক খান চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত পুলিশের কনস্টেবল। তিনি বলেন, মাহমুদুল খুব হাসিখুশি ও শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। ঘটনার আগের রাতেও মাহমুদুলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কনস্টেবলের চাকরি নিয়ে সে খুশি ছিল না। এ কারণে চাকরিতে অনেক কষ্ট বলে সে তার মাকে বলত। তার ইচ্ছা ছিল পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর পদে চাকরি করার। সেজন্য চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পাংশা কলেজে অ্যাকাউন্টিংয়ে অনার্সে ভর্তি হয়েছিল। সে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। মাহমুদুল কেন আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

মাহমুদুল হাসানের বড় বোন সুমাইরা খাতুন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা লাবণীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভাইবোনের মতো সম্পর্ক ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আমার ভাইকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কখনো কোনোদিন কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। লাবণীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের খারাপ কোনো সম্পর্ক ছিল না।

মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দুই আত্মহত্যার ঘটনায় মাগুরা থানা ও শ্রীপুর থানায় দুটি ইউডি মামলা হয়েছে। পুলিশ দুটি আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে।