

অর্থ আত্মসাত ও হত্যার হুমকির অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম হিরো আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুবেল মুন্সি (২২) নামে এক তরুণ।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রোববার (৭ আগস্ট) বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযোগ দায়ের করা রুবেল মুন্সির বাড়ি কুমিল্লার মতলব উপজেলার বড়ইলদা গ্রামে। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- মো. লিমন (২৫) এবং মো. শুভ (৩০)।
লিখিত অভিযোগে রুবেল মুন্সি উল্লেখ করেন, তিনি হিরো আলমের মালিকানাধীন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। ২০২১ সালে রুবেল মুন্সির কাছ থেকে হিরো আলম ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এছাড়া রুবেল মুন্সি তার সাত মাসের বেতনের ৭০ হাজার টাকা হিরো আলমের কাছে জমা রাখেন। পরবর্তীতে রুবেল মুন্সি ধারের টাকাসহ জমারাখা টাকা ফেরত চাইলে হিরো আলম দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাঁচ মাস আগে চাকরি ছেড়ে রুবেল মুন্সি গাজীপুরের শ্রীপুরে ইয়ান ফুড প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন।
রুবেল মুন্সি জানান, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত ১১টায় হিরো আলম অভিযোগে উল্লেখিত দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে তার বর্তমান কর্মস্থলে সামনে যান। এ সময় রুবেল মুন্সিকে টাকা ফেরত নেওয়ার কথা বলে অফিস থেকে বের হতে বলেন হিরো আলম। অফিস থেকে বের হলে হিরো আলম তাকে প্রাইভেটকারে তুলে মেডিক্যাল মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নাম না জানা লোকদের সহযোগীতায় তারা রুবেল মুন্সির কাছে থাকা ল্যাপটপ, জি-মেইল আইডি, ফেসবুক আইডি নিয়ে রাত ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। এসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানমালের ক্ষতি করারও হুমকি দেয় তারা।
হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে রুবেল মুন্সি ব্ল্যাকমেইল করেছে। সে আমার এখানে চাকরি করতো না। আমি লেখাপড়ায় কম, ইংরেজি খুব বেশি ভালো বুঝি না। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে তিনি আমার ল্যাপটপসহ কয়েকটি ইউটিউব চ্যালেনের আইডি নিয়ে গিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। সে আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল অন্যের কাছে লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। ওই চ্যানেলটি যিনি ব্যবহার করছিলেন আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে রুবেলের সম্পৃক্ততা পাই। পরে রুবেল মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু সে ল্যাপটপ ও চ্যানেলের পাসওয়ার্ড বাবদ আমার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি শ্রীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তার কাছ থেকে ল্যাপটপ ও আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে আসি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। আমি স্বাক্ষী প্রমাণ ছাড়া কোনো কাজ করি না।‘
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হিরো আলমের বিরুদ্ধে রুবেল নামে এক ছেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজন অফিসারকে (এসআই) বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’