• আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ নাবিক দেশে ফিরবেন এমভি আব্দুল্লাহতেই, বাকি দুজন বিমানে

| নিউজ রুম এডিটর ২:০২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১৭, ২০২৪ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

 

 

সোমালিয়ার জলদুস্যুর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজটির ২১ নাবিক ওই জাহাজে চড়েই চট্টগ্রাম ফিরছেন বলে জানিয়েছে জাহাজ মালিক পক্ষ। এজন্য মাসখানেক সময় লাগতে পারে। অবশ্য অপর দুই নাবিক আকাশপথেই চট্টগ্রাম ফিরে আসছেন জাহাজটি দুবাই পৌঁছার পর পরই। আগামী সোমবার এমভি আবদুল্লাহ দুবাইর আল হারমিয়া বন্দরে পৌছে কয়লা খালাস করার কথা রয়েছে।

জিম্মিদশা থেকে ৩২ দিন পর মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের সবাই জাহাজটিকে দুবাইয়ের বন্দরে রেখে আকাশপথে চট্টগ্রাম ফিরবেন-এমন রটনা ছিল মুক্তির পর। কিন্তু মঙ্গলবার এস আর শিপিং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, ২৩ নাবিক নয়, শুধু দুইজনই ফিরবেন আকাশপথে। অন্য ২১ নাবিক দুবাইয়ের আল হারামিয়া বন্দরে কয়লা খালাস শেষ করে জাহাজ নিয়েই আসবেন চট্টগ্রাম বন্দরে।

মালিকপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর নাবিকরা এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানায় জাহাজ মালিকের প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং।

মেহেরুল করিম জানান, ‘চুক্তি অনুযায়ী নাবিকরা জাহাজে আরো মাসের বেশি সময় থাকার কথা। কিন্তু যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেছে সে হিসেবে নাবিকদের মতামত ও উভয় পক্ষের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন।

দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়। প্রস্তুত করে রাখা হয় জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল।

গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।