• আজ ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের কাছে এলডিপির ৮৩ প্রস্তাব

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | আগস্ট ৩১, ২০২৪ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গঠনে ৮৩ প্রস্তাব দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।

কর্নেল অলি আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনও চাঁদাবাজ মুক্ত হয়নি। প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করলে একটি পরিচ্ছন্ন দেশ পাওয়া যাবে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকার এখনও বিপদমুক্ত নয়। আওয়ামী লীগের সহযোগী দেশের শত্রুদের কারাগারে নিক্ষেপ করতে হবে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। সকল পর্যায়ের নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। সংস্কারের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, ক্ষমতায় আসার কথা ভুলে যান।’

এসময় কর্নেল অলি আহমেদ আরো বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ সময় নিলে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার চালাতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।’

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার বিকেল ৩টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শুরু হয় রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক। শুরুতেই অংশ নেয় ৭টি ইসলামিক দল। এগুলো হলো, হেফাজতে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামি আন্দোলন। নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন নেতারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এলডিপি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এলডিপি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ।

এ ছাড়া, আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছে এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ জাসদ, ১২ দলীয় জোট ও গণফোরাম। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে। রাত ৮টা পর্যন্ত টানা চলবে মতবিনিময় সভা। তবে আজকে বিএনপি এবং জামায়াতের মতবিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, ওই দুটি দলের সঙ্গে এর আগেই বৈঠক হয়েছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘তিনি যৌক্তিক সময় নিয়ে কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন, সে বিষয়টি আমরা বলেছি এবং প্রধান উপদেষ্টাও এই মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার দিনের মাথায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১২ ও ১৩ আগস্ট বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, জামায়াতে ইসলামী, কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) কয়েকটি দল ও জোটের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। প্রথম দফার ওই আলোচনায় কিছু দল ও জোট বাদ পড়েছিল। আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এসব দলের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে ৪৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা সাক্ষাৎ করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারকে স্বাগত জানানো হলেও গত ২৪ আগস্ট থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি জানান।