• আজ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া-আহতদের ক্রেস্ট-কাওয়ালী জলশা অনুষ্ঠিত

| নিউজ রুম এডিটর ৩:১৬ পূর্বাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ শিক্ষাঙ্গন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া, নাশিদ,আবৃত্তি এবং কাওয়ালী জলশার আয়োজন  রাজধানী মোহাম্মদপুর বছিলার ছাত্র জনতা।

বুধবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব মোহাম্মদপুর বছিলা হাই স্কুল মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরনে এ দোয়া মাহফিল এবং ইসলামি গান,আবৃত্তি এবং কাওয়ালী জলশা অনুষ্ঠিত হয়।

 

পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরে আহত চার জন ছাত্রজনতা এবং একজন চোখ হারানো ছাত্র তাদের বক্তব্যে হাসপাতালের চিকিৎসার সেবা অব্যবস্হাপনা এবং তাদের পরিবারের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতার আহবান জানান। এছাড়াও আন্দোলনে নিহত মুনসুর মিয়ার সন্তান তার বাবা হারানোর জন্য কান্না করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জনতার কাউন্সিলর এমএস আহমাদ আলী।
এছাড়াও ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ওসমান গনি সেন্টু বক্তব্য দেন।

এম এস আহমাদ আলী বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরা বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর নেতাকর্মী ও জনগণকে হয়রানি করে চলেছিলো। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শত শত হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে হত্যা করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসরা এখনও রয়েছে, এদের থেকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। প্রয়োজনে অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোন স্বৈরাচারের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।

এম এস আহমাদ আলী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন,গণআন্দোলনে আহত এবং নিহতদের পরিবারকে আমরা শুরু থেকেই আর্থিক ভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। এরপরও যদি কোন পরিবার আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়,তাদেরকেও আমরা সহযোগিতা করবো।

পরে আহত ছাত্র জনতাকে ক্রেস্ট দেয়া হয় ও নিহত ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোঃ মিনহাজ ও সোহান।

সর্বশেষে কাওয়ালী গানের পর্বে ইসলামি গানের সংগঠন প্রাণের মদিনা শিল্পী গোষ্ঠী, সিলসিলা, জাগরন ব্রান্ডগুলো সংগীত পরিবেশন করেন।