• আজ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

ভর্তি কমিটির সভায় আওয়ামীপন্থীদের অংশগ্রহণে উত্তাল ইবি

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৪৮ অপরাহ্ণ | মার্চ ১১, ২০২৫ শিক্ষাঙ্গন

 

মানিক হোসেন, ইবি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির মিটিংয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করায় সভায় বাঁধা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে আন্দোলনের মুখে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সভাস্থল থেকে বের করে আনা হয়। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির মিটিং শুরু হয়। মিটিংয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্বে থাকা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করে। বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানলে শিক্ষার্থীরা সভাস্থলে গিয়ে জড়ো হয়ে আওয়ামীবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মিটিং থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে শিক্ষকরা ভ্যানে করে নিজ নিজ বিভাগে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাদেরকে পেছন থেকে ‘দালাল ধর, দোষর ধর’ বলে ধাওয়া দেয়। পরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগে গিয়ে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামকে আগামীকাল থেকে ক্যাম্পাসে না আসার হুমকি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের আন্দোলন বিরোধী মিছিলে তিনি অংশগ্রহণ করে। এছাড়া আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে জুলাই আন্দোলনকে নিয়ে উপহাস করে পোষ্ট দেন। এছাড়াও প্রতিনিয়ত শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন পোস্ট করে আসছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, বিগত আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা জিয়া পরিষদের ও গ্রীন ফোরামের শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলাসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী আওয়ামী শিক্ষকদের বিষয়ে এমন কোনো কাজ করতে চাই না। আমরা চাই ঐ সব শিক্ষকরা তাদের ভুলের জায়গাটা স্বীকার করে অনুশোচনা করে ফিরে আসুক। তারা তাদের রুটিন কাজগুলো করুক কিন্তু তারা যদি এখনো তাদের পূর্বের রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা লালন করে তাহলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।

এ বিষয়ে জানতে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শহিদুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানায়। পরে তাদেরকে আমরা মিটিং থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বের করে নিয়ে আসি।

এছাড়া শহিদুল ইসলামের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পর আমরা তার সাথে কথা বলেছি। সে জানালো যে ডরমিটরিতে গিয়ে একটু বিশ্রাম নেবে। পরে আমরা তাকে নিরাপদে সেখানে পৌঁছে দিয়েছি।